মধুকবির হাত থেকে যদি
পড়ে যেত লেখনি-
তাহলে কি উঠতো গড়ে,
বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য
বলে কোনো কাব্য?
শ্রাবনের ঘন কালো মেঘ
যদি ভয়ংকর রূপে,
ঢেলে না দিতো বৃষ্টি-
তাহলে থাকতো কি
শ্রাবন বর্ষার ঐ সুমধুর বন্ধুত্ব?
কচি কচি পল্লব ও কুসুমে,
বৃক্ষরা নব সাজে নব রূপে
যদি না সাজতো এ বসন্তের আঙিনায়।
তাহলে বসন্ত কি হত ঋতুরাজ?
নদীতে যদি শুধু জোয়ারেই আসতো,
ভাটার টানে সমগ্র জলের স্ফীতি
উড়িয়ে দিয়ে নিঃস্চূপ হয়ে,
মরা গাঙে জোয়ারের অপেক্ষা
না করতো নদী।
তাহলে থাকতো কি ভাটা বলে
কোনো শব্দ..?
পূর্ণিমার রাত্রে চন্দ্রিমা যদি
সর্ব অলংকার পরিধান করে
উজ্জ্বলতায় ছড়িয়ে না দিতো রাত্রিকে,
তাহলে পূর্ণিমা এতো উজ্জ্বল মধুর
হয়ে উঠতো কি....?
গভির ভালোবেসেও যদি
প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে
না থাকতো বেদনার মূহুর্ত
তাহলে বুঝতো কি প্রেমিক-প্রেমিকারা
বিরহের কি জালা.....?