আজ তিমির আঁধারে আছে ভালোবাসা
সোনালী সকাল জিঘাংসার মোড়কে বাঁধা।
বৃহৎ হিংসার দ্বীপ জ্বলে আলোক আগুনে,
গঙ্গা যমুনা ভাগীরথি জলে রক্ত পিন্ড ভেসে রয়
বঙ্গোপসাগরের কোনে কোনে শবদেহ জমা হয়।
ট্রাম ট্রেন মোটর দিনের চঞ্চলতা সখ্য প্রেমে,
সূর্যকে বন্ধু করে। কালোকে আলো বলে ছোটাছুটি
বিষন্নতা ছায়া মেলে পথ হাটে ধরণীর বুকে গুটি গুটি।


জুয়ার আসরে মদের বাহার কেড়ে নেয় সন্তান সন্ততির
আহার-আনন্দ-তৃষ্ণা,বিবেকের ঘর শূন্য হয় কত পতির।
কান্নার রোল-ভাসমান সূর্যের বর্ণালী আলোকে-
পথ হাটে দুঃখ যন্ত্রনা হাহাকার বিরহের পরিবার
শিকারির হাতে তখন উঠে আসে ঝলসা খাবার।
গোধূলি রাঙা হয়ে আসে শিকারের অন্তিম নিশ্বাসে-
চারিদিকে আলোর যবনিকা টেনে আঁধার ঘনিয়ে আসে
ঝি ঝি পোকার শব্দে,জোনাকি রঙে জোনাকির তরে।


দুদন্ড শান্তির প্রয়াসে ধরিত্রী দিবা আঁধারে প্রার্থনায়
নিঃশব্দে রক্তের আসনে বোসে, রাত্রি কে জাগায়।
ঘোমটা খুলে চলে মুক্ত জীবন-আলোক আঁধার পথে-
ধূম্র কুজ্ঝটিকা ঢাকে সারারাত- শীতল পৃথিবী
ধুয়ে দেয় হানাহানি, রক্তে রাঙা সূর্যের ভাতি।
পৃথিবীর সব জীব তখন স্বনীড়ে ঘুমিয়ে-
দিনের শবদেহ রক্তের গন্ধ মুছে দুনিয়ায়
যেন আর না দিন আসে-সংকল্প কামনায় ।