নজরুলের বিদ্রোহী অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা নেয়ার
অথবা ভূলোক ভেদ করে মাথা
উঁচু করার প্রয়োজন আমি বোধ করিনা ।
আমি পল্লীকবি জসিমউদ্দীনের মতো দেখতে চাই
গাছের শাখার লুটিয়ে পড়া।
অচেনা কোন কিশোরের ডিঙ্গি অথবা
ধবল বক দেখতে দেখতেই
আমার গোধুলিলগ্নটা কাটে।
সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য বরাবরই আমার মাঝে
জাগিয়ে তোলে এক ধরনের প্রশান্তিময় পুলক।
এমনটি কখনই সূর্য উদয়ের দৃশ্যের সময়ে ঘটেনি।

নদীর ঢেউ গুনে শেষ করা সম্ভব নয়
তবুও আমি ঢেউ গুনে পার করেছি
ঝিমিয়ে পড়া অনেকগুলো মধ্যাহ্ন।
আমার পাশে নিঃশব্দে আমাকে সঙ্গ দিয়েছে একটা
হেলে পড়া, বার্ধক্যে জর্জরিত বটবৃক্ষ।
মানবজাতি তার কি নাম ঠিক করে দিয়েছে-
তা কোন গুরুত্ব এই বৃক্ষের কাছে বহন করেনা।
কারণ তার অবস্থান নামের ঊর্ধ্বে।


ভরদুপুর অথবা মধ্যরাতে মাঝে মাঝেই
আমার মন বিক্ষিপ্ত হয় একটা নিঃসঙ্গ
যৌবনতিক্রান্ত বটবৃক্ষের স্মৃতিতে ।