একদা সে মুক্তির আনন্দে-
হয়ে উঠেছিল দিশেহারা ।
চিরক্ষুধার্ত হাঙ্গরের মতো গিলে নিতে চেয়েছিল-
পৃথিবীর সমস্ত রূপসুধা ।
উপচে উঠা আনন্দে দিগ্বিদিক-
জ্ঞানশূন্য হয়ে সে ছুটে চলেছে ।
দিক থেকে দিগন্তরে –
পাড়ি দিয়েছে নিবিড় অরন্য
লবনাক্ত সাগরের ওপারের রাজ্যের শীতলতাকে
বুকে ধারণ করে – সূর্যের দুর্দান্ত তাপে পুড়তে-পুড়তে-
মরুভূমির বালিতে ঘূর্ণি তুলে ছুটে গেছে-
আকাশের রঙে নীল হতে ।

কিন্তু আজ, টান পড়েছে তার হৃদয়ের সুতোয়।
হৃদয়ের এই অজানা বন্ধন, তাকে করে তোলে বিহ্বল ।
তার আজ কেবলই মনে হচ্ছে একটা পাহাড়ের কথা ।
একটা ধ্বসে পড়া পাহাড়। কিন্তু সেই পাহাড়টা ছিল,
তার । একেবারেই তার । শুধুই তার ।
তার ইচ্ছে হয় সেই পাহাড়ের ধ্বংসস্তুপের উপর
ঝিরিঝিরি শান্তি হয়ে প্রবাহিত হতে।
তাই সে আবার ছোটে-
স্থির - অবিচল লক্ষ্য নিয়ে ।


গাছেরা পাতা ঝাঁকিয়ে, শরীর নাড়িয়ে ডাক দেয়
বাতাস ফিরে চায়না।
বালিরা ঢিবি তৈরি করে, ঘূর্ণি খেলার ডাক দেয়
বাতাস মৃদু হেসে পাশ কাটিয়ে চলে যায় ।
উন্মাদের মতো ছুটে চলে, ফেলে আসা পথ ধরে ।
তারপর, সে বুঝতে পারে সে পথ হারিয়েছে বহু আগে।
পথ হারিয়ে বাতাস দুঃখ পায়নি।
সে এখন বিরান প্রান্তরে হু হু করে বিলাপ করে-
তার হারিয়ে যাওয়া পাহাড়ের বিরহে ।