অসময় আসা বৃষ্টির মতো
তুমি এসে দাঁড়োলে দরোজায়
অনেকটা বিরক্তি ছিল
এই বুঝি ভিজে যাই উটকো জলের ঝাপটায়,


আকাশে তখনো মেঘ, বাইরে অন্ধকার -
মুখ তথনো তাই দেখে নি তোমার


তবু বলি, এভাবে কেউ আসে, অসময়
বাইরে বেরোবার আমার ভীষণ তাড়া
তোমাকে দেবার মতো এতটুকু সময় এখন
নেই আর হাতে,


সকালে বাসায় ছিলাম
শিশিরের জলে হেঁটে ভিজেয়েছি পা,
রোদের আতর মেখে ঘ্রাণবতী করেছি শরীর
তখন কোথায় ছিলে, কোনখানে ছিলে তুমি মেয়ে?


ধরেই নিলাম আমি, ভোরের শিউলি কুঁড়োতে তুমি গিয়ে ছিলে শরৎ-শহরে
না হয়  পাও নি সময়,
দুপুরে এলে না কেন বলো,


আমি তো  অলস সময় হাতে
বসে ছিলাম সারাটি দুপুর
প্রাচীন হরোপ্পার মতো
কোথাও কেউ নেই, আমি একা, শুধু আমি একা
বালুর নিচ দিয়ে বয়ে চলা এক দু:খী নদী
এভাবে দুপুর শেষ


বিকেলের কঙ্কালে পা রেখে এখন সসন্ধ্যা ছুঁইছুই


বিকেলে আসতে না হয়,


অথচ তা না করে
উড়নি মেয়ের মতো সারাপাড়া ঘুরে
বেলা শেষে এলে তবে আমার দরোজায়,


আমার আজ বৃষ্টির কোনো প্রয়োজন নেই,
এই ভর সন্ধ্যায় বৃষ্টিতে ভিজলে
নির্ঘাত আমাকে কালজ্বরে পড়তে হবে।
২৯.৫.১৭