ভোরের যখন ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে,
আমার স্বপ্নে দেখা  মেয়েটা তখনও স্বপ্নে বিভোর হয়ে শুয়ে॥
স্বপ্নে দেখে সংসারের ঘানি টানটে টানটে বাবার মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি,
চোখ দিয়ে জল গড়ে ভেসে ওঠে দুঃখী মায়ের মুখশ্রী॥


মেয়েটার তখনও ঘুম ভাঙেনি মধ্যাবৃত্ত সংসারে খুঁজে একটু শান্তি,
শূন্যতার মাঝের দিন কাটে তবু স্বপ্নেই থাকে মেয়েটি॥
এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে দু'বেলা পান্তা ভাত জুটে,
তবু ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াবে বলে টাকা জোগায় স্বপ্নে॥


মেয়েটির বয়স বেড়ে ওঠছে সংসারের চাপে,
গৃহে সুখে নিজেকে ভাসিয়েছে পঞ্চনদে॥
চোখের জলে বালিশ ভিজে,শুধু বালিশ বুঝে তার ব্যার্থতাকে,
পুড়ে মরে বিষাদ জ্বালায় হাজার খানা স্বপ্ন নিয়ে॥


মার ক্যান্সাররের টাকা যোগানে কিছু কাল হয় সে নিশাচর প্রানী,
দুঃখের কপাল তার দুঃখেই তাহার নিত্য সঙ্গী॥
আবার কোথায় হারিয়ে যায় সবার থেকে,
ভাইকে মানুষ করতে টাকার জোগাড়ে॥