নারী তুমি আর সহ্য করো না বিষাদ পৃথিবীর কুমন্ত্রণা,
চারদেওয়ালে বন্দি থেকে স্বপ্ন গুলো কে দিও না যন্ত্রণা॥
ভাগ্য দোষ বলে বিধাতার ওপর চাপিও না দুঃখের বোঝা,
নারী তুমি নিজেই করো নিজের ভাগ্য রচনা॥


বিষন্ন সমাজের লক্ষণ রেখা  ভেদ করিয়া তুমিও সু-শিক্ষা লবে,
দশ জনের একজন হবে॥মাথা উঁচু করে বাঁচবে॥
অন্ধকারে সৃষ্টি অন্ধকারে শেষ নহে জীবন,
শূন্য ধারা তুমি বিহীন॥


নারী তুমি জগত্ জননী,
কখনো মাতা,কখনো কন্যা,কখনো বা রমনী॥
জ্ঞন হইলে জানি নারী তুমি সষ্টার সৃষ্টি,
দেশ-দেশান্তর কহে তুমি অলৌকিক শক্তি॥


স্বাধীন দেশে আজও পরাধীন,
তোমার স্বপ্ন তোমার ইচ্ছে পরিপূর্ণ সমাজে বড্ড কঠিন॥
তুমি আজও ধর্ষণের শিকার নির্লজ্জ পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে,
তাই দুর্গতিনাশিনী রূপে সজ্জিত থাকো আঘাতের বিরুদ্ধে


রাস্তা দিয়ে একা হাঁটলে যে সব পুরুষ বলে তোমার অসতী,
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হও লিপ্ত,তুমি হও প্রতিবাদী॥
ফিরিয়ে আনো তোমার স্বাধীনতা হও ঝাঁসির রানী,
শেষ করো অত্যাচারের ঘানি॥


যে সংসারে পূজিত তুমি,
সেথা মুর্তিরূপে বন্দি ॥
তুমি বিহীন ছন্নছাড়া ধরণী,
তুমি বিহীন অন্ধ সকল পুরুষ,তুমি চোখের মনি॥