রাতের আঁধার ভেঙে উঠেছে পূর্ণিমার চাঁদ
নিঝুম রাতে সবাই ঘুমায়
শুধু জেগে আছে রাতের প্রহরী।
শূন্য বিছানায় প্রিয়তমা তাকে পেতে
ঘুমের ঘোরে তাকে দু’হাতে খোঁজে নিরাশায়।


আঁধারের ঘোমটায় ঢেকে
প্রেমের আবেগে কানে কানে কতকিছু বলার ছিল
কিছুই হলো না তার! ঘুম চলে যায়।
অপেক্ষার রাত আরও দীর্ঘ হয়
তারপরও সে আসে না।
আসবে কি করে!! সে যে রাতের প্রহরী।


নিজের সম্পদ অরক্ষিত রেখে
প্রিয়তমার সান্নিধ্য থেকে নিজেকে তিল তিল করে বঞ্চিত করে
অন্যের সম্পদ পাহারা দেয় রাতের প্রহরী ।
এই মহান কাজের বিনিময়ে পায় অবহেলা আর অবজ্ঞা
তবুও মাঝ রাতে বাঁশি শোনা যায়,
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়,কণ্ঠ ভেসে আসে।


টানাটানির সংসারে ভুলে গেছে তার জীবনের সাধ
বৃথা আশায় কেটে যায় পৃথিবীর সুন্দর সময়গুলি
সোনার সে দিন,মনের মতো সে দিন তবুও আসে না।
বুকে কষ্ট নিয়ে
সমাজের বুকে মাথা নিচু করে বেঁচে থাকে রাতের প্রহরী।
আর স্বপ্ন দেখে তার প্রতীক্ষায় প্রিয়তমা পথ চেয়ে,
হৃদয়ের ক্যালেন্ডারের পাতায় সে দাগ কেটে চলে।