পঁয়ষট্টি বছর বয়স
বৃদ্ধ পথিক ধরেছে ঘরের বাট,
নয়নে পড়িল বৃদ্ধা রমণী
বয়স হবে তার ষাট।
দেখেই তারে বৃদ্ধ হৃদয়ে
উতলি উঠিল ঢেউ,
এ যে তার পুরান প্রেমিকা
জানো-কি তোমরা কেউ?
বৃদ্ধের মনে জাগিয়া উঠিল
হারানো দিনের কথা,
ভাগ করিতো দু'জন মিলে
দুঃখ-কষ্ট-ব্যথা।
হৃদয় মাঝে বৃদ্ধার লাগি
হয়েছিল যে ঠাঁই,
এখনো সেই হিয়া তাহার
কোথাও হারায় নাই।
জীবন স্রোতের টানে
দু'জন যখন ভিন্ন পথে ছোটে,
দু'জন দু'জনায় দেখা নাহি আর
জোটে।
চল্লিশ বছর হয়েছে গত
দেখেনাই কেউ কারো মুখ,
দু'জনেই নতুন করে
খুঁজিয়া নিয়েছে সুখ।
গভীর অনুরাগ, গভীর অনুভূতি,
ছড়ায়নিকো তাদের
জীবনে দ্যুতি।
মনের পটে কল্প আঁকিয়া
বৃদ্ধ হইলো সারা,
চক্ষু জুড়ে নামিতে চায়
শ্রাবণ বৃষ্টির ধারা।
বৃদ্ধকে এবার বৃদ্ধা-
দেখিতে পাইলো বুঝি,
কি-ই-বা বলিবে এখন তারে
পইলোনা সে খুঁজি।
বড়ই উদাস চক্ষু গুলো
মানিতে চাহেনা কিছু,
চক্ষু গুলো দেখাছে দোহারে-
যতই মস্তা নিচু।
সব ভুলিয়া দু'জন দু'জনায়
দেখিছে নয়ন ভরি ,
মনেহয় যেন এমনি করিয়া
জীবনের বাকি দিবে পাড়ি।
মরেনি হৃদয়, মরেনি স্বপ্ন,
মরেনিকো ভালবাসা,
বৃদ্ধাকে পেলে এখনো বৃদ্ধ করিত
হাজার বছরের আশা।
এখনো-যে তাদের এ প্রেম
মানতে চাহেনা বাঁধা,
বিদায় প্রহরে হয়েছে দু'জন
প্রেমের কৃষ্ণ-রাধা।
ভাঙ্গতে পারেনা তবুও তারা
সমাজ রীতির জাল,
এ ভাবেই জীবন ব্যবধানে
কেটে যাবে মহাকাল।
অন্ধ প্রেমের অন্ধ গুহায়
স্মৃতি রবে পড়ি,
জীবন সায়াহ্নে চলিবে তারা
এই পৃথিবী ছাড়ি।।।।


বিঃদ্রঃ এই কবিতাটি আমার এক ফ্রেন্ড এর অনুরোধে লেখা।আমি যখন ঢাকা সিটি কলেজে পড়ি তখন সজীব কুমার বর্মণ নামে আমার বন্ধুটি বলেছিলো বুড় বয়সের একটা রোমান্টিক কবিতা লিখতে।সেই প্রচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ এই কবিতাটি।