১.


টিক্কা খান বলেছিলেন,‌‌‌‌" বাংলাদেশের মানুষ নয়, মাটি চাই''
এতো যেন-তেন চাওয়া নয়, পাকি বর্বর জেনারেলের চাওয়া,
ঝলকে উঠেছে অপারেশন সার্চ লাইটের ভয়ঙ্কর রাতের আলো
পাকি সৈন্য ও এদেশীয় দোসর ও কোলাবরেটররা ঝাঁপিয়ে পড়েছে
একরাতেই হাজার হাজার মানুষ অথবা বাঙালীকে হত্যা করা হয়েছে;
তারা ছাত্র ছিলেন, শিক্ষক ছিলেন, পুলিশ ও বিডিআর ছিলেন
তারা ছিলেন সাধারণ মানুষ, বস্তিবাসী নিরীহ মুক্তিকামী জনগণ।
এ রাতটি কি শুধু ঢাকা শহরই দেখেছিল, নাকি দেখেছিল সারা বাংলা?
কোথাও এ প্রশ্নের উত্থাপন ও উত্তর দেখি না। সময় আসবে।
একদিন পঁচিশে মার্চের কালরাত্রিতে সারাদেশের হত্যার খবর
উঠে আসবে মানুষের সামনে, মানুষ জানবে বাঙালীর রক্তত্যাগের কথা।


এবার পঁচিশে মার্চ বাঙালীর কাছে আসবে জাতীয় স্বীকৃতি নিয়ে
যে গণহত্যা সংঘটিত করেছিল টিক্কাখান ও তার দোসররা
আজ ছেচল্লিশ বছর পর এই অকৃতজ্ঞ দেশ সে স্বীকৃতি দিয়েছে।
শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না, আজ তুমি বিভ্রান্ত হতে পারো
কাল তোমার বিভ্রান্তি কাটবে, ঘটবে সকল মোহ থেকে মুক্তি
আমি বিশ্বাস করি রক্ত থেকে ফোটা পদ্ম, কখনোই বৃথা শুকাবে না;
মাঝে হয়তো আরো একটি প্রজন্ম চাপা পড়বে পাকিস্তানী মানসে
কারণ তারা পৃথিবীতে এসেছে নষ্ট বীজ থেকে জন্ম নেয়া ঔরসে
নষ্ট ঔরস থেকে কখনো শ্রেষ্ঠ পয়দা হয় না। আরেকটু ধৈর্য্য ধরো
বাংলাদেশ ঠিকই ফিরে আসবে আপন অক্ষরেখায়,
জাতীয় গণহত্যা দিবস থেকেই রচিত হলো তার সূচনা।


২৭ ফাল্গুন ১৪২৩-শনিবার-১১ মার্চ ২০১৭-ঢাকা।