১.


একটি সংঘর্ষ হয়েছে, কয়েকজন আহত ও নিহত একজন
কয়েকটি কক্ষ পুড়েছে, রক্তের দাগ রয়ে গেছে শয্যা থেকে
করিডোর হয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক পর্যন্ত, ভীষণ আঁশটে গন্ধ।


কয়েক পত্রিকার সাংবাদিক লিখেছেন সে ছিল সরকারী
দলের ছাত্র শাখার প্রধান অথবা প্রধানদের একজন,
কী লজ্জা! কী লজ্জা!


এক ঠোঁটকাটা সাংবাদিক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বললো,
‘‘তারা কি কোন আদর্শ নিয়ে লড়েছে? কোন মহতী উদ্দেশ্যে?’’
‘‘কী যে বলিস, আধিপত্য বিস্তার আর বখরার ভাগ!’’
‘‘তাহলে দলের কী দোষ? তার দায়ভার দায় নেবে কেন?’’
‘‘কেন নেবে না, সরকারী দল বলেই তো.....’’
‘‘আমার জন্য কাজ না করে নিজের জন্য লড়তে গিয়ে মরেছ,
তোমার মৃত্যুর দায় আমার হবে কেন?’’


সাংবাদিক বন্ধু তখন ফেসবুকে....মনোযোগী।


২.


কানাডার আদালত বলেছে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির প্রমাণ..
পাওয়া যায়নি। সকলই গরল ভেল।
কটন বাডের দাম বেশি নয়। দশ টাকায়ও পাওয়া যায়।
কানের ভিতর কুঁড়ি ঘুরলে বাইরের শব্দ টের পাওয়া যায় না।


৩.


সাগর-রুনী বিগত পাঁচ বছর। বিচার হয়নি। বিচার কি,
তদন্তই শেষ হয়নি।
কান থেকে কটনবাড খুলে পড়ে। এবার তীব্র আন্দোলন হবে।
শত কন্ঠের প্রতিবাদী বাণী-শ্লোগান, স্পষ্ট শুনতে পাই।
পদ্মা সেতুর শ্যাফটের শব্দের নিচে বিশ্ব ব্যাংকের বেশ্যাবৃত্তি
বেমালুম চাপা পড়ে যায়।


২৯ মাঘ ১৪২৩/শনিবার/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ঢাকা।