এই,
মধ্য মাঘে ডুবছি বিষম ফাগে
গা জ্বলছে আজব রকম রাগে
ডুবতে চাইছি বড্ড ভীষণ কাজে
কাজ আমাকে ভুলেও ছোঁবে না যে।
বেকার বসে করছি সময় পার
ফেসবুক তাই যোগায় সব আহার
চাইনা দেখি ওপার জান্‌লা খুলে
বাহির বাহার আসছে হেলে দুলে।


কোকিলটাকেও বলতে শুনছি কূ-উ
মনের ভিতর হাওয়ার হু হু হু উ
পরাণ খুলে ভোমরা ডানা মেলে
কে পায় তারে ফাগুন ফিরে এলে!
আমের মকুল হচ্ছে সবুজ গুটি
বাজারেতেও বিকছে মটরশুঁটি
রং করা নয়, সবুজ ও তরতাজা
যদিও মেজাজ মবিল তেলে ভাজা।


কী যে করি ব্যাটে বলের লড়াই
যতই ঠেলি যতই করো বড়াই
হচ্ছে না গুড়, ক্ষীরসা, পায়েস ক্ষীর
শীতের হাওয়া সরিয়ে পাতার ভীড়।
নতুন কচি কোমল পাতার মতো
ফাগুন হলো বাংলা বাউলযতো
বাউরী বাতাস বাউল মনের সাথে
এক আসরে ছিলিম বানায় হাতে।


এরই সাথে যন্ত্রণা তাই বাড়ে
মাঘের শীতে এয়ার কুলার ছাড়ে
জানিনা এই চৈত্রে যে কী হবে
বোশেখে কি বাদল দেখা দেবে!
আষাঢ় এসে ফিরেও যাবে একা,
বর্ষা বাদল ব্যাঙ পাবে না দেখা
শরত মাসের পরত জলে ভরে
হেমন্তে কি কুয়াশার জল ঝরে?


এমন হলে বাঁচবো কেমন করে!
কেন করে রাখবো কাব্য ধরে!
কেমন করে মাসের হিসেব গুলো
ঠেকিয়ে যাবে অসময়ের ধুলো?
পারবে না তা বুঝছি হাড়ে হাড়ে
নতুন করে বাংলা বর্ষ ধরে
সাজানো চাই বদলে যাওয়া রঙে
নতুন পঞ্জী আনতে হবে বঙ্গে।


নতুন করে সাজবে বাংলা দেশ
ষড় নয় রে পাঁচটি ঋতুই শেষ
শীত ও গ্রীষ্ম, বর্ষা, বসন্ত
মাঝে ক’দিন শরত-হেমন্ত।
শেষ দু’টোকে একত্রে ব্লেন্ড করে
শরত নামেই রাখবো তাকে ধরে
হেমন্ত থাক হিম ঘরে হিম ট্রেতে
বাংলা আসুক নতুন পঞ্জীকাতে।।


৩১ জানুয়ারি ২০১৭/মঙ্গলবার/১৮ মাঘ ১৪২৩/ঢাকা।


**  ৫০০ তম দিনের কবিতা/৫০০ নং কবিতা/
      প্রিয় পাঠককে সাল ও হৃদয়জ শুভেচ্ছা।