তোমাকে ছাড়তে চাইনি, তবু তুমি
কেন যেন সব কলা পূর্ণ করে বসে আছ;
পাখি ছিলো, ছিল আলোর ঝিল, আরো ছিল
আদিগন্ত বিস্তৃত আকাশ অথবা রোদেলা প্রহর;
সব ছিল তোমার, ছিল অপরূপ রূপ-তনু-মন
সবই চলছিল ঠিক, আমাদের প্রহর যাপন।


মাঝে কে যেন হানা দিল, ছিন্ন করলো আমাদের
অচ্ছেদ্য নীরবতা, নিপূণ কারুকার্য্যময় ভাবনা সূত্র
একে একে ছিঁড়ে যেতে শুরু করলো সুতো গুলো
ধীরে ধীরে তোমার সৌন্দর্য্য, তোমার উপযোগিতা
উদ্ভাসিত হয়েছে, বিকশিত হয়েছে সব পাপড়ি
আমার স্বপ্ন বিভ্রান্ত হয়েছে সমান তালে।


তারপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর.......
আজ যখন আমাদের বিচ্ছিন্নতার বাতাস বইছে
এই ফাগুনে, মন ভারী হয়ে আসছে
অসময়ের বিরুদ্ধ ঢেউ গ্রাস করছে আমাদের তটরেখা;
কতটা দোষ দেবে আমাকে, খুব কি অভিমান হবে!
খুব কি অভিশাপ দেবে আমায়, এই বিচ্ছিন্নতায়?
জেনে রাখো বাতাসে পরাগ রেণু উড়লে
কেউ কেউ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়, তার চোখে পড়েনা
বসন্তের বাউরী বাতাসে আন্দোলিত শাখা, ফুল।
আমি জানি না আমাদের এই ছেড়ে যাবার আয়োজন
সঠিক নাকি ভুল। জানি সময় সব বলে দেবে।
তখন এই কথামালা, আমাদের কথামালাগুলো
এপিটাফ হয়ে শোভা পাবে আমার অথবা তোমার
অথবা আমাদের যুগল সমাধীতে।


২৯ জানুয়ারি ২০১৭/রবিবার/১৬ মাঘ ১৪২৩/ঢাকা।