হরিণ চরে ভোর বেলাতে দিনের প্রথম খানা খায়
সন্ধ্যা হতে সকাল অব্দি সোনার পেট যে উপোস যায়!
ব্যাঘ্র মামা আলসে কিছু ঘুম ভাঙ্গে তার একটু লেটে
উঠেই ছোটেন খাবার খোঁজে, খুঁজলেই কি খাদ্য জোটে!


সর্পদেবের আয়েশ ভীষণ, খেতেও পারেন অনেক খাবার
প্রতিটি দিন খাদ্য খোঁজা ঝক্কি ভীষণ, পোষায় না তার
খেয়ে নেন তাই মানুষ ছাগল হরিণ কিংবা যেটা জোটে
পেট ভাসিয়ে সাত দশ দিন পড়ে থাকেন বাদাড়-ঘাটে।


গান ঘরানার ক্ষুদ্র প্রাণী মশক মামা নিয়ম করে
সন্ধ্যারাতে আহার খোঁজেন ঝোপঝাড়ে বা শোবার ঘরে
টিকটিকিটার উচ্চ রুচি খায়না যেন তেন খাবার
তখনই খায় যখন জোটে মনের মতো রাজার আহার।


মানুষ এমন খাদ্য রসিক খেতে পারেন যখন তখন
ক্ষুধাতে খায়, ভর পেটে খায়, খাবারে নেই রকম-সকম
ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, কিডনী না হয় লিভার ডিজিজ
না না পদের ব্যারাম নিয়েও খেয়ে চলে বার্গার চীজ।


এত খেয়েও এই পৃথিবীর আধেক মানুষ অনাহারে
খাদ্য বিহীন পুষ্টি বিহীন, খাদ্যাভাবে ধুঁকে মরে।
আবার দেখি অঢেল খাবার, খাবার পাতে নষ্ট করে
অপচয়ের মহোৎসবে নিরন্নদের দুঃখ বাড়ে।


হাসপাতালেও লম্বা লাইন, মেদ কমাতে ডায়েট করে
দাম বেড়ে যায় মেডিসিনের, ড্রাগ মালিকের পুঁজি বাড়ে
এই পৃথিবীর খাদ্য-শেকল অনিয়মের গ্যাঁড়াকলে
এমন চললে নয় বেশি দূর, জগত যাবে জগদ্দলে।।


০৪ জানুয়ারি ২০১৭//বুধবার//২১ পৌষ ১৪২৩//ঢাকা।
= কাহারো পরিণয়......কাহারো প্রলয়=