শুভঙ্করের বড় ভায়ের নামটি যেন কী?
অনেক খুঁজে জানতে পেলাম ভয়ঙ্কর যে ফাঁকি।


তিনশত দিন ক্লাশে যাবে
ভাতের মাঝে পানি খাবে
লেখার খাতায় লিখে যাবে
হিজি বিজি যা মন চা’বে;
বিষয়বস্তু যা হোক তা হোক ওজন হবে পাকি
পাতার সংখ্যা আর ওজনটা হিসেবে ঠিক রাখি।


কী শিখেছ? বিষয় না,
জানতে চাইছি। বলবো না,
কি লিখেছ? জানি না,
কত পাবে?  বুঝছি না;
তাহলে কি রেজাল্ট হবে ভাবতে পারিস কি?
রেজাল্ট? সে তো জিপিএ ৫, দিচ্ছি গ্যারান্টি।


কমন প্রশ্ন ভুল ছেপেছে
দুইটা অংক ভুল হয়েছে
গাইড বইটা ফেল মেরেছে
কোচিং টিচার ঘাট মেনেছে।
গাইড বইটা কেনা হয়নি এমন অপরাধী
ক্লাস থেকে স্যার বের করেছে, মনে রেখেছি।


আজকে স্যারের প্যাঁচার মুখে
জিপিএ ৫ ঝুলছে সুখে
গাইড  ‍যুগের পতন হলে
লড়তে যেতাম মগজ বলে
বানিয়ে বানিয়ে লিখেই আমি এ প্লাস পেয়েছি
শুভঙ্করের ভাস্তে আমি, চাচার খবর কী?

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬//বৃহস্পতিবার//১৫ পৌষ ১৪২৩।
ঢাকা।


*** আজ মুখরের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তি বিচেনায় নিয়ে এই কথাকতা। শুভেচ্ছা।