রবি ঠাকুর নাকি এভাবে লেখা শুরু করেছিলেনঃ
‘‘জল পড়ে পাতা নড়ে’’
পরের লাইনে পাইঃ
‘‘তোমার কথা মনে পড়ে’’-এটি ঠাকুরের লেখা কি না আমি জানি না। তবে এভাবে অসংলগ্ন লেখার মাধ্যমেই কারো লেখিয়ে জীবনের শুরু হয়।


আসলে দৃষ্টিভঙ্গী একটা বিষয়। এটা সবার একরকম হয় না। ধরুন আপনার পাশে একটি বোমা ফাটল, আপনি চমকে ‍উঠে ভীত হয়ে ছিটকে পালালেন, তারপর সেটা নিয়ে আরো সাবধান হলেন এবং বোমা ফাটতে পারে এমন এলাকা এড়িয়ে চললেন। কিন্তু যার দৃষ্টিভঙ্গী একটু ভিন্ন সে ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করলো। ভাবলোঃ
‘‘ছুটল কামান গোলাগুলী, লাগল ভীষণ যুদ্ধ
নিপাত হলো হোঁদল রাজা, নিপাত হলো বুদ্ধ’’
এভাবেই কবিতার জন্ম হয়।


এক ব্যবসায়ী বা ক্ষুদে বিক্রেতা হাট শেষে ঘরে ফিরছিলেন। পথে এক গাছের তলে বসে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন, পথক্লান্তি মেটাতে। হঠাৎ তিনি শুনলেন পাখির কিচির মিচির, শুনে ভাবতে লাগলেনঃ
পাখি কি বলছে?
এক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলেন, ডাক্তার বললো ‘‘সীবাজল ট্যাবলেট’’
এক বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সে বললো‘‘পিঁয়াজ রসুন আদরক’’
পরে আবু তাহের বর্ধমানী নামের এক জ্ঞানীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘‘আসলে পাখি কিছুই বলছে না, তারা তাদের স্বভাবসুলব ভঙ্গীতে কিছু শব্দ সৃষ্টি করছে, যা তাদের ভাবের আদান প্রদানের উপায়’’।
আসলে এভাবেই লেখা বা কথা বা কবিতার উদ্ভব।


‘‘রাত হলো নিঝঝুম চোখ জুড়ে অায় ঘুম
ফুটফুটে জোছনায় জোনকীরা উড়ে যায়
চাঁদ মামা একা একা জেগে থাকে আকাশে
ফুলের সুবাস আসে ঝিরঝিরে বাতাসে।’’


এই রাতই কোন কবির সুপ্ত মনকে জাগালো। তিনি লিখে ফেললেন একটি শ্রেষ্ঠ লেখা।


আরশাদ: ০৭ নভেম্বর ২০১৫, ঢাকা।