নীল পাখি ব্যাংকার, কয় ছেড়ে হুঙ্কার
খাই খাবো ইচ্ছাতে, এন্তার এন্তার,
সামনে যা পাই-খাই, কারো কেড়ে খাই না
খাওয়া নিয়ে এত কথা আমি বুঝে পাই না।
খাই নিজ ট্যাঁক থেকে মাল পানি খসিয়ে,
তাতে কার খসছে কি দিচ্ছে কে ধ্বসিয়ে!


আমি বাপু বেচারাম-কেনারাম দোকানি,
দোকানে যে আসে তার কাছে বকবকানি,
কিচু মাল বেচা হয়, কিছু দিই ফিরিয়ে
কেউ যদি ফ্যালে কড়ি, মাল নেয় ধারিয়ে।
ফি-বছর এই কাজে পাই যত মাইনে
তারচেয়ে ঢের বেশি পাই বাঁয়ে ডাইনে।


ধার নাও, বাঁকী নাও, যার যত সাধ্যি
লেনা-দেনা কারবারে আমি বাপু বদ্যি।
মাল নেছ-- দাম দেবে, এই সোজা কথা যার
মগজের গলিপথে পাক খায় তেরবার;
তার সাথে ব্যবসাটা ঠিক মত জমে না
ঠিকমত নেয়া ধার শোধ দিলে চলে না।


শেষ হবে ধার শোধে মেয়াদের সাফ-কাল
ব্যাংকার ঠোকরাবে মগজের টাক-ছাল,
‘শোধ দাও, দেরি কেন, এভাবে তো চলে না’,
লেনা-দেনা সেরে নাও, মেয়াদটা কিছু না।
দু’বছর মেয়াদটা রিসিড্যুলে কুড়ি-বিশ
কিছু পাবে সরকার, বাঁকী কিছু সেবা-ফিস।


আমাদের ব্যাংক আছে, আছে নীল পাখিরা
ঘরে পোষে কোর-আন, মনে পোষে শাকিরা
সামনের চোখে দেখি সব কিছু ঝাপসে
মনে বেশ দেখে চলি বেহেশতে আপসে।
মসজিদে কাতারটা সামনের হওয়া চাই
দান করি দেধারছে ফেরাবার নাম নাই।


তবুও যে হানা দেয়, রোগ-ব্যাধি ঘর দোরে
ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া ধরে।
ডাক্তার ডেকে কয়, হাঁট বেশি, খাও কম
বই ধরে ভাত-রুটি, খাবারেতে তেল কম।
মেনে চলি ঠিক-ঠাক বয়সের ধারাপাত
তবুও ধরে টান বয়সের, হাঁক ছাড়ে ব্যাধি বাত।


কিডনীটা দুর্বল, হার্ট পাম্প কম করে
লিভারটা লিবারেল, বহুমূত আছে ধরে।
মনে পড়ে এস্তেমা,আজমীর, হজ্বব্রত
সৎকাজে কম কীসে, মুছে যাক বদখত।
ভুলে সব পচা কথা, বুনে চলি লোকালয়
নীল পাখি ব্যাংকার ব্যবসারই কথা কয়।


আরশাদ ইমাম,ছন্নছাড়া, ১০ শ্রাবণধারা, ঢাকা।