ডুবন্ত সূর্য
------------------


একা সবুজ কাঠের বেঞ্চিতে নুয়ে পড়া অস্তিত্ব
উড়ে পড়া বাদামী পাতায় শিথিল পা।
বৈকালিক হুল্লোড়েও নির্জীব।
হাতের লাঠিতে ভরসা, নিজের থেকেও।


এই জীবনে নতুন কিছু আসে না;
কেবল কিছু দু:সংবাদ, আর
নিত্য গজানো উপদ্রব, শরীরের।
আর ত্বকের অসহায় কুঞ্চন প্রতি রোমকূপে।


প্লাস্টিকের বাক্সে ভিড় বাড়ে ওষুধের স্ট্রিপের;
বোকাবাক্সের মুখগুলো ক্রমে আবছা।
একফালি বারান্দায় কোণা ছেঁড়া গামছায় তেলচিটে গন্ধ, দলা পাকানো তুলোর বালিশ।


পথচারীর ছুঁড়ে দেওয়া নিষ্প্রাণ হাসি,
গৃহবাসীর উদাসীন চোখ; চালের পায়েসে,
ভেসে আসা ইলিশের আনচানে গন্ধে
ধূসর চোখে লালসা আর ঘন ঘন বেগ।


থম মেরে বসে থাকা ভাবনায়-
শৈশব যৌবনের গুন গুন; তারুণ্যের উপহাস।
যাওয়ার পথ যত ঘনিষ্ট
ফেরার পথ ততই দূরে, কানাগলি।


তবু, ভোরের লালিমা, ঝরা শিউলি- তারা,
নীল আকাশে ডানা মেলা মেঘ,
তপ্ত মাটির বুকে সোঁদা কান্না,
নির্জনতার পর্দা ফেঁড়ে বৈশাখী ঝড়


আজও ডাকে, ফিস ফিসিয়ে জানিয়ে যায়,
এখনো আছ, এখনো আছ।।