নাহ্‌ চাঁদ দেখি নি কখনো একসাথে
ফুলের বাগানেও ঘোরা হয় নি কোনদিন।
কেবল ব্যস্ততার দিনলিপিতে
লোকাল ট্রেনের কামরায় চেপে
কিছু পথ পাড়ি নিত্যদিন।


রঞ্জন, উলোঝুলো চুলের পুরুষ
ভাসানো চোখের দৃষ্টিতে
দেখে পৃথিবীর যা কিছু।
আর আমি দেখি ওকে।


যদি বল, কি সম্পর্ক আমাদের,
জানি না; হয়তো নির্ভরতার।
ওর চোখের দৃষ্টিতে
ঠোঁটের চিলতে হাসিতে
বিশ্বাস শব্দটা যেন লেপ্টে থাকে।


শিয়ালদার পাঁচটা পঁয়তাল্লিশের
রেলের নিত্যযাত্রী আমরা;
সাড়ে পাঁচটায় দেখা হয় টাইমঘড়ির নীচে।
টুকটাক ছোলা বাদাম মাখা,
ভুট্টা কিনে খাই, একটু হাসি,
একটু গল্প করি।
প্ল্যাটফর্মের কলরবেও তা আমাদের
কান ছুঁয়ে যায়।


রঞ্জন, কাল থেকে আর দেখা হবে না।
নতুন চাকরী পেয়েছ, উল্টোপথে।
আমার কাল থেকে কান্না পাচ্ছে কেন?
কেন এত ফাঁকা লাগছে?
* * *
কাল থেকে আমি অন্য পথ।
বিকেল বেলাটা আর সুন্দর থাকবে কি না জানি না।
জানি না, সাড়ে পাঁচটা আমার বুকে
কোন দিনও আর ঝড় তুলবে কি না।
ভুট্টাদানাও কি নরম থাকবে আগের মত?


সুতপা, আমার এত অস্থির লাগছে কেন?
তোমার হাতের চুড়ির আওয়াজ
কেন খালি ডাকছে আমায়?
কেন খালি খালি বুকটা বেশ ভারি ঠেকছে?
তুমি আমার কে, বলবে প্লিজ...।