স্মারকলিপির অপেক্ষায় থাকা আমার আর হলো না,
হাতের মুঠোয় জল ছল ছল খুচরো মুদ্রা,
ধান বীজের মত কোমল-কাদা বীজতলায় ফেলা হলো না।


স্বার্থক মিথ্যেবাদী যদি হতে পারতাম, তো বেশ হতো;
বন্ধু বলে বাড়িয়ে দেয়া হাতে
হাত মেলাতেই দেখি মাংসহীন সে হাত !
সহসা আর কোনো চুক্তিতে যেতে চাইনে,
দেউলিয়া হলে কে দেখবে?


সুচিকণ রমনীয় ছিঁপ দিয়ে টলমল
জলের রুপোলী মাছ ধরতে গিয়ে ,
বড়শীতে যদি কোনো যুবতীর
বুকের পাঁজর উঠে আসে, বিড়ম্বনা হে!


মাথার ভেতর দিয়ে যে অলস নদী
কুল্‌ কুল্‌ করে বয়ে যায়, তার দুই পাঁড়ই ভাঁঙ্গা,
অসহায় জলোচ্ছাসের নির্বাণকাল…


কাউকে আমি বলে যাবো না, মুহূর্তেই অন্তর্হিত হবো
নারকীয়তার সীমান্তে আমার আর পৌছনো হবে না!
আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে তা দিব্যি বুঝতে পারছি।


আকাশের দিকে তাকিয়ে আজ আর বৃষ্টির মিনতি নেই,
গল্‌ গল্‌ করে গভীর নলকূপ যে জলোদ্গীরণ করে তাই পাথেয়;


সচকিত তিমিরের পূর্ণ অমাবস্যায়
সাদা পর্দা টেনে দিতেই দাউ দাউ,
আমি নিশ্চয়ই শুধু জ্বালাতে আসিনি, ভ্রান্তিকালীন
পরনের নিরন্তর পৌণঃপূণিকতার জামা
এখন অনিয়ন্ত্রিত আলখেল্লা মনে হয়…


প্রায়শঃই মিথ্যেবাদীতায় জীবনযাপন
যাদের কাছে অনপনেয় হয়েছে
আমার পরিচিতজনের নাতিদীর্ঘ তালিকা থেকে
তাদের নাম কেটে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত।