কখনও আমি ঘাস ছূঁয়ে দেখিনি আঙ্গুঁলে,
কতটুকু আর সে দিতে পারে উষ্ণতা...!
মিথ্যেই কেবল অহংকার করেছি,
তাই আজ আমি পাখী, খাঁচাভাঙ্গা...


              কোথায় আমার আদি-রসসিক্ত শেকড়
              জীয়নের সকল আক্ষরিক প্রতিশব্দ!?
              দশদিশে তার খোঁজ করো স্নায়ূ  
              আঁখীর সন্ধানে আঁখী মেলে ধরো...


              অনেক ব্যথার মায়াজালে নিজেকে জড়িয়ে
              আপ্রাণ সচেষ্ট হয়েও হতে পারিনি মুক্ত,
              আমার প্রাণ-ভ্রমরকে নিজের হাতেই পিষে
              আমি আর কাকেই বা  দোষী করবো...!


ফুলেল পেলব তোমার এমন গাল
তা’ও আমি ফেলে এসেছি গহীন অরণ্যে,
অথচ স্নানান্তে যে তোমার খুশবু
আমার পিছু নিয়ে আজও তেমনি ‘ম’ ‘ম’...

              প্রিয়তিপ্রিয়জনের সান্নিধ্যপ্রার্থীতা আমারই
              তবে তার আঘাত'ও বড্ড কম নয়...
              মুক হলে’ও তবে চলতো বোধ করি,
              তবে দূর্ভাগ্য, আমি যে জন্মান্ধ নই...!


জানিনে কার জন্যে এ জীবনকে জনারণ্য হতে
মহাসমূদ্রোপকূলে এনে সটান দাঁড় করিয়েছি,
তাকে' পেয়েছি এ’ও সাহস করে বলতে পারিনে
তবে বোধ হয় 'সে' আমায় পেয়েছে...!


               প্রানময় যার সশব্দ বিক্ষিপ্ত বিচরণ,
               তার কাছেই এ প্রানের ভার রইল;
               'অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
               ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে...'


স্বর্ণলতা যতই জলীয়বাষ্পে জীঁইয়ে থাক
পরাশ্রয়ী দূর্নাম তার কখন’ও ঘোঁচে না...
কবি, আমার নির্জন কবি, তুমি এভাবেই বেঁচে থাকো,
তোমার নিঃশ্বাস’ও যে আমায় করে ঋনী...



উত্তরায়ণঃ
মানব-জনমের এ জীবন-যাত্রায় আবেশ-ব্যথা, মন-যন্ত্রণা, হাস্যোজ্জ্বল আনন্দ আর নিয়ত উত্থাণ-পতন সংযোগে যে চিরায়ত প্রান-প্রবাহ বহমান তার পুরানো উৎসমুখ কোথায়! প্রশ্নখানি যতবার বুকের পাঁজরে আঘাত করে যায়, নিজের কষ্ট ব্যথার নির্বাণ হয়, নিজেকে ছেড়ে চলে আসতে ইচ্ছে করে, নিশ্চয়ই এ ভাবের আধার এ মাটির পৃথিবী নয়... এ নিশ্চিত অন্য কোথাও...! অত্যন্ত নির্ভার হয়ে কারো কাছে চির-সমর্পিত হতে অন্তর চেয়ে চেয়ে ফেরে...! যেথায় শুধুই পরমানন্দ...আজ'ও দেখা হয়নি সেই অতি-বিচিত্র জগৎ-ধাম...!