~ কালো কাক ~


কিছু কালো কাক উড়ে এলো আমার দিকে
যাদের কে একদিন দূরে উড়ে যেতে সাহায্য করেছিলাম
যাতে সেগুলো আমাকে বারে বার ছিড়ে-খুঁড়ে খেতে না পারে।।


খুব চেষ্টা করেছিলাম কাকগুলো থেকে বেঁচে থাকার
কিন্তু মুক্তির কোনো উপায় পাওয়া গেলো না,
চারিদিকে উঁচু উঁচু দেয়ালের বাগান...


সত্য থেকে মিথ্যার দিকে যে ঝোঁক
এর শক্ত প্রভাব থেকে বেঁচে থাকা গেলো না
উদ্দাম ফাঁকা আকাশে কাকগুলো উড়লোই...


আমাকে ভোঁ-তাড়া করে বেড়াচ্ছে কাকগুলো
সকাল সঁন্ধ্যে, অবিশ্রান্ত, অক্লান্ত... পারেও বটে,
অপর্যায়ক্রমিক হারি আবার জিতি’ও মাঝে মাঝে...


মিথ্যেচারীর কাছে কাকগুলোকে ভালোবাসতে শেখা প্রথম
অতঃপর অন্যান্য গুনাহ্‌  শুরু হলো, ক্রমাগত,
প্রাথমিকে উত্তীর্ন হলেও মাধ্যমিকে আটকে গিয়ে বুঝলাম,
কাকগুলো ইবলিসের সাথে চুক্তিযুক্ত...


আলোকিত পথে যে কোনোদিন হাটিনি, এমন নয়,
তাই, আলোই ছিল উদ্দেশ্য, পথকে দোষ দিইনি...
অবশেষে আলো তো দূরের কথা, একটা জোঁনাকী মিললো না,
নিদেনপক্ষে যেখান থেকে এসেছিলাম, ফেরা যেতো!


যেখান থেকে তোমরা আসো, যেখান থেকে আমি এসেছি,
খুঁজে খুঁজে হারিয়ে ফেলেছি; চেষ্টা জারি থাকলেও
কাকগুলো খুব বিভ্রান্ত করে, ঘুলুট পাকায়...


নিষিদ্ধের অমোঘ আকর্ষণই খেলো চিরকাল,
বেড়ার ওপাশের ওগুলো ঘাষ, এপাশের গুলো লোম,
স্বনির্মিত কারাগারে এখন পঁচে মর্‌... তুই কাঁথা, সুঁইও তুই...


কালো কাক’কে আর বিশ্বাস নেই, একটুও না,
এর হাতে পড়েছো কি মরেছো, একেবারে কালো সুঁড়ঙ্গ...
ফিরে আসলেও নির্ঘাত কিছু না কিছু ফেলে আসবেই... এই রে!


পরশপাথরের মতো তুমি’ও হতে পারতে কেউ বা কিছু,
মানুষের মাঝখানে থেকে হতে পারতে উর্বর,
তেঁতো শোনালেও কথাটা মিষ্টি, এখনও দেখেশুনে চলো হে...


যার যায় শুধু ‘সেই’ বোঝে, সন্তান শয়তানের দোসর হলেও
কোন্‌ এক কি টানে যেন বুকে ঝিম্‌ ধরে মা’বাবার-ই,
আগে বুঝিনি, এখনও বুঝতে কষ্ট হয়... কোথায় যে যাবো!


অপচিত সময় এখন আমকে নিশ্চিন্তে অপচয় করছে,
কাকগুলোকে মেরে ফেলতেই হবে, উপায় নেই আর...
আগে তবুও আকাশ দেখা যেতো, আর এখন~! নাহঃ...


মরণোন্মুখ সব্বাইকে বলার মতো কথা একটাই,
কোথাও কোনো কালো কাক দেখেছো, তো মেরে দাও,
এখনো কারো কারো হাতে নিশ্চয় সময় আছে,
একটু দাড়িয়ে নীল আকাশে নিষ্পাপ চেয়ে থাকার...



আনোয়ার পারভেজ শিশির
যশোর.ঢাকা.বাংলাদেশ