যেদিন প্রথম কবিতা লিখলাম সেদিন বুঝতেই পারিনা কি লিখলাম ! তবে কিছু দিন পর এটা তো বুঝতে পেলাম যে কবিতা এমন জিনিস যা জোর করে পাওয়ার যাবে না । কিছু কবিতা লিখে ফেলার পর এটা ধারণা হলো আমি কবিতা লিখতে পারি । ধীরে ধীরে মনের ভেতর জন্ম নেয় কতো রকমের ভাবনা । আমার কবিতা কি সত্যই কবিতা হয় ! লোকের সামনে তুলে ধরার মতো কিছু হচ্ছে তো ! নাকি অন্যদের হাসির কিছু খোরাক যোগানোর কারণ হবে , তারপর বহুদিন লেগে গেল লোককে জানাতে আমি কবিতা লিখতে পারি । তাও আবার নিজের খুব পরিচিত বন্ধদের কাছে , যারা হাসলেও  কি আসে যায় ! না , যা ভেবেছি তা হয়নি, সবার মত একটা ভিন্ন রকম কিছু করছিস তবে আর কি চালিয়ে যা । এটাই অনেক পাওয়া , নিজের মনের একটা বড়ো সান্ত্বনা এটা যে বন্ধুরা সাথে আছে । প্রকাশ করাটা একেবারে যাচ্ছাতাই হলো না ।


তবে একটা প্রশ্ন নিজেই মনকে বহুদিন ভুগিয়েছে , আমি কি একজন কবি ? উত্তর নিজের মনের মতো করে সাজাতে না পারায় ধরে নিলাম , কবির মতো কিছু একটা ।


আর কবিতা লিখতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি , কবিতা কবির ইচ্ছেতে আসে না , কবিতা আসে অভিঙ্গতার , কবিতা আসে প্রতিভার, কবিতা যখন আসে নিজেই আসে; ভীন বাজিয়ে সাপ হাজির করার মতো ব্যাপার না । তরে টানপোড়ন তো থাকবেই । আর জোর করলে ফল ভালো হয় না । যখন সন্তানকে প্রসব বেদনার আগেই বের করে আনা হয় । তখন রোগ তার পিছু সহজে ছাড়ে না ।


আর যখন আসে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি কিছুই মানে না । বরং সব কিছুতেই ফুয়েল পায় । মনের খেয়ালে লিখতে লিখতে অনেকই হয়ে উঠে বড়ো কবি । তবে বেশি ভাগের জন্য বড়ো কবি হবার চেয়ে ভাগ্যে বড়ো হলে ভালো । একবার নামে রটে গেলে , নাম-ই তার কবিতা লেখার ফুয়েল যোগাবে । জনপ্রিয় হতে যতদিন , একবার জনপ্রিয়তা চড়ে বসলে আগে পরের সব গুলোই লোকে খাবে ।


আগে স্থান দখলের জন্য লড়তে হবে , তবে এটা এমন নয় যে অন্যকে হটিয়ে নিজের আশ্রয় গ্রহণ ; এটা এমন হতে হবে যে অন্যের পাশে নিজেকে নিজের জায়গা তৈরী করার প্রবণতা । তবে যেভাবেই হোক ব্যাপারটা এতো সহজ না ।


তবে নিজের লেখাটাকে সত্যিকার কবিতায় রূপ দান করানো হলো বড়ো কঠিণ সংগ্রাম । কবিকে এটাই সবেচেয়ে বেশি ভোগায় । তাই নয় কি ?