আমি এখন অনেক বড়,
স্বপ্ন ছুঁয়ে আকাশ উড়ি
শেষ বিকেলের আলো ছায়ায়
ক্লান্ত ঘুড়ি।
বিলে ঝিলে শাপলা শালুক ডাক দিয়ে যায়,
কাঁঠাল চাঁপা, গন্ধরাজের
সুবাস আজো নাকে ভাসে,
শঙখ পাড়ের কাশের সারি
আমায় দোলায়,
ছেলে বেলার কোকিল এসে
ডাকে আমায়।
আমার গাঁয়ের ক্ষেতের আলে,
মেঘের ছায়া পড়তো হেলে,
টলটলে জল মাঝ পুকুরে,
ফড়িং ওড়া ভর দুপুরে,
ডিঙ্গি বেয়ে মাঝ নদীতে,
বেলা যেতো চরের ক্ষেতে,
বড়শিতে টান পুঁটি শোলে,
চড়ুইভাতি বনের কোলে।
কেমনে ভুলি আম কুড়ানো,
গাছের ছায়ায় প্রাণ জুড়ানো,
কাবাডিতে দম ফুরানো,
গ্রাম্য মেয়ের লজ্জা রাঙা
মুখ লুকানো!
টিনের চালে বর্ষা এলে,
দুপুর যেতো ঘুমে ঢলে,
ব্যাঙের দলের গলা সাধায়,
সন্ধ্যা নামতো অঝোর ধারায়।
কিশোর বেলার দাপাদাপি,
প্রাচীন হাওয়ায় স্মৃতির ঝাঁপি,
আমায় হাসায়, আমায় কাঁদায়।
আমি এখন অনেক বড়,
স্বপ্ন ছুঁয়ে আকাশ উড়ি
শেষ বিকেলের আলো ছায়ায়
ক্লান্ত ঘুড়ি।