হে ভারত-ভাগ্য-বিধাতা !
বাংলার হৃদয় ভাঙিয়া,
কেন আনিয়া দিলে স্বাধীনতা ?
শত-ফুল শত-রঙে রাঙিয়া
উঠেছিল যার উপবন নবীন আশায় ;
অসময়ে ভাঙিয়া দিলে কেন
তার সকল আশা ?
মরণের দেশে গেছে তাই
শচীন, হীতেশ আর চণ্ডীরা-
এ স্বাধীন দেশে,  
ভাষা-মা’এর তরে,
নিরস্ত্র সমরে শিলচরে !


হে ভারত-ভাগ্য-বিধাতা !
ভেবে দেখো নাই কি একবার-
তোমার একটা নির্ণয়-সাথে,
হ’তে পারে, কত শত-হাজারের
দুর্গতি লেখা ?
ভাষা-মায়ের তরে শহীদ হলো-
এগারোটি তাজা প্রাণ !
(তখন,  ১৯৬১ সন)
রেল লাইনে ওরা দিয়েছিল অবস্থান-
হয়েছিল নিজেই সভ্যতার শিথান !
কই-কোথায় থেমেছে
প্রগতির ইঞ্জিন ?
বরং তারাই তো বোঝিয়ে গেলো-
কোন শক্তিই মনুষ্যত্বের উপরে নয়,
শহীদের রক্তই শেষ কথা কয় ।


হে ভারত-ভাগ্য-বিধাতা !
এখনও যে দেখি- কা’রা ছড়াইছে
বিদ্বেষ-বিষ বিভাজন-রেখায় !
তুই ওড়ে, তুই বাঙালী-
তুই জাট কিংবা মালয়ালী-
তুই নাগা, তুই গারো ;
বল না- যত জাতি আছে আরো !
কিন্তু মনে রাখিস ওরে!
মায়ের যে একটিই জাত;
ভাষা মা’এর নিন্দে করে
কেমনে পূজিবে রে তুই
ভারত-মাতা !


তবুও জানি-
১৯শে মে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রবে-
শোষিত লাঞ্ছিত মানবের সংগ্রামী মননে ;
শুধু ভাষা নয়, বাঁচার সকল প্রশ্নে-
কাছাড়ে, বঙ্গে কিবা বিশ্বে ।
তাই আজও দেখি ‘জগণ্ময়’
সংগ্রামীর বিজয় কেতন
উড়াতেছে দিকে দিকে ।
অসংখ্য ঝঞ্ঝা-মাঝে তারা ঘোষিছে-
বিজয়-প্রসাদ আসে যেন
বিজয়ীর কাছে
বিজয় গর্বে ।


রচনাকালঃ ১৯-১০-২০০০ KGPH3  ও
১৯-১২-২০১৭ ,  ATSTHUM.




.