গোধূলির ঘননীল আকাশ পটে, রাঙা-মাটির পথে,
তূলো আর কালো মেঘে কা'র বস্ত্র হরণ দৃশ্য দেখে দেখে
অস্ত রবি-করে ধৃত রাষ্ট্রখানি বিবর্ণ চেয়ে থাকে
মৌনদর্শী ক্ষণকাল ;  তারপর আঁধার নামে আলোর যবনিকা এঁকে ।
এক হিংস্র হাওয়ার দারুণ চাপ এড়াতে, প্রবল উত্তেজনায় পড়ে
অন্ধকার ভেদ করে ঝলকিয়ে ওঠে যেন একটা দীর্ঘাকার
স্রস্ত আঁচল বিদ্যুৎ রাশিতে, নৈঋত কোণে !


এক ফোঁটা দু'ফোঁটা নয়- অশ্রু ঝরে অঝরে ;
তবুও মনে হয়- এক পসলা বৃষ্টির জলে ভিজে কি পৃথিবীর বুক ?
হঠাৎ কড়া নড়ে যেন দরজার ! কেঁপে ওঠে খোকা কুঁড়ে ঘরে ;
হয়নি খাবার এখনও যে- খাওয়া হয় তার, মা এলে কাজের শেষে  ।


দরজা খুলে কুপি ধরেই অবাক সে-
বলে-  মা ! এ্যাতো দে... তোমার চোখে জল !
মা'র শূন্য হাত, শ্রান্ত দেহ, চোখ মুছে বলে-
না রে ! এ-এ-এ তো জল-
সব হারিয়ে বেঁচে এসেছি- বাইরে ঝরছে দ্যেখ, বজ্র কেবল !


(রচনা কালঃ ০৯/১০/১৯৯৩ ।)