গ্রীষ্মকালে আম,কাঁঠাল রে
গ্রীষ্মকালে জাম,
গ্রীষ্মকালে রোদের তাপে
শীতলপাটিরই নাম।
গ্রীষ্মকালে খরার জন্য
চৌচির হয় মাটি,
মেঘ-পানির জন্য খোদাকে
মোরা সবাই ডাকি।
                      
বর্ষাকালে টাপুর-টুপুর
বৃষ্টি পড়ে ভরদুপুর,
বাদল দিনে কত!
ছুটেছি আদুল পায়
রংধনুর সাত রঙেতে
নিজেকে সাজাই।


শরৎকালে মিষ্টি রোদ
জড়িয়ে দেই মোদের গায়
নিঝুম রাতের তারাগুলি
ডাকে আয় আয়।
শরৎকালে কাশফুল
মলয়ে বয়ে যায়,
নৌকার ছেঁড়া পালে
মাঝি দাঁড় বায়।
                        
হেমন্তের সোনালী ধান
ভরিয়ে দেয় কৃষাণীর মন
নবান্নের উৎসবে তারা
মেতেছে তখন।
আমনের ধানে ধন্য
হয়েছে নবান্ন,
হলুদ গাধার খামে
সেজেছে হেমন্ত।


শীতকাল, কুয়াশার চাদরে মোড়া
হিম-কুহিলির প্রত্যাবর্তন,
পত্র ঝরা তরুর প্রস্তুতিতে
নতুন আবর্তন।
পিঠা পুলির উৎসবে
শুরু হল ভোর,
কুয়াশার চাদর ফুঁড়ে
গরিবদের তরে-সূর্য তুই
আভা দিস তোর।”


বসন্তকালে রাশি-রাশি
পুষ্পপুঞ্জ ফুটে,
শিউলি, বকুল,সব পুষ্পরাই
পায়ে পড়েছে লুটে।
                                              
ষড়ঋতুর অপরূপ-
হয় না যেন শেষ,
ষড়ঋতু সৃজিয়াছে
মোর বাংলাদেশ ।