অনন্তকাল ধরে কেঁদে চলছি আমি-
কাঁদব আরো কোটি বছর,
কান্নাতেই যে আমার সুখ।
কান্নার জন্যই যে আমার জন্ম হয়েছে।
কেনই বা কাঁদব না আমি?
কান্নার সার্থকতা যে আমায় পেয়ে বসেছে।
আমি মনে করেছিলাম-আমি নিঃস্বার্থী
ভুলটা ভেঙে গেল সেদিন,
যেদিন নদীকে কাছে পেয়েও যে,
আলিঙ্গন করতে পারিনি।
নদীকে দিয়েছি কত ভর্সনার সুর!
বলেছি-আমার সিক্ত হৃদয়কে তুমি
তোমার মায়ার জলে ভাসিয়ে দিলে?
কেন ভাসালে? উত্তর দাও!উত্তর দাও!
সে কোন উত্তর দিতে পারেনি।
নদীর বিয়োগে আমি মর্মাহত,
কষ্টে জর্জরিত, আর অশ্রুসিক্ত!
পাথর মনে জাগাল সেই,
কান্নার হাতছানি।
অনন্তকাল ধরে কেঁদে চলছি আমি।
আজ আমি এটা বুঝেছি যে,
নদী আমাকে ছেড়ে কেন চলে গেল?
নদী সাগরকে ভালবেসে
সাগরে তার অস্তিত্ব মিশাবেই।
এটা যে পরম সত্য, অবিসম্ভাবী।
কিন্তু আমি যে নদীকে কত ঘৃণা করেছি!
কান্না ছাড়া আর উপায় নেই যে আমার
আজ আমি উপলব্ধি করছি,
আমার কান্না ঝরণা হয়ে প্রতিনিয়ত
নদীকে আলিঙ্গণ করছে।
আর আমি ভেবেছিলাম-
শূণ্য হৃদয়ে নদীকে আমি পাব না বলে!
অনন্তকাল ধরে কেঁদে চলছি আমি-
কাঁদব আরো কোটি বছর,
কান্নাতেই যে আমার সুখ।
কান্নার জন্যই আমার জন্ম হয়েছে।
রচনাকাল: ১৮/০৭/২০১৭