একাত্তরে স্বাধীন হলো বাঙ্গালীর বাংলাদেশ
চুয়াত্তরে হাহাকার অশনির সংকেত!!
বঙ্গজাত সবার গায়ে ছিল ছিন্ন-পিরাণ
নিঃসাড়-বাণীহীন স্বাধীন বসুন্ধরায়,
ছিল তারা পেরেশান।
প্রচন্ড রোদেলায় কাজ করে
পায় নি তারা একমুঠো ভাত,
যেখানে তাদের রাত, সেখানে হয়েছে তারা কাত।
আঃ কঙ্কালের মতো হাড্ডিসার!!
দেখা দিয়েছে বুকের পাশে।
বুকের তাঁজা রুধির ঢলছে উত্তপ্ত রাস্তাতে।
রক্তঝরা স্ফুলিঙ্গে তারা,
পড়ে গিয়েছিল অভিসম্পাতে।
সাত কোটি জনতাই পড়েছিল অশনির সংকেতে।
চিত্রের সেই করুণ দৃশ্য শঙ্কা বাড়িয়ে দেয়,
কাক ঠুকরে খেয়েছে আবর্জনা, মানুষও তাই
আঃ মানুষ ছিল কতটা অসহায়!!
পেটের দায়ে মানুষ বেরিয়েছে
ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে,
ভিক্ষার অভাবও চারদিক
হাহাকার অশনির সংকেতে।
ভাত,আলুর বদলে বাংলার মানুষ
কচু-গেছো খেয়ে থেকেছে,
রোগে-শোকে মানুষ ঢলে পড়েছে
হাহাকার অশনির সংকেতে।
ভীষণ রোদের তাপে মানুষের অন্তর ফাটে!!
সামান্য পানিতে কি পিপাসা মিটে?
বিষম সংঘাতে মানুষ চেয়েছে পরিত্রাণ
ক্ষুধার্ত মানুষ অশনির সংকেতে-
পায় নি স্বাধীনতার মান।
অশনির সংকেত গ্রাস করেছে,
বাংলার নিরীহ মানুষের প্রাণ।
তবুও এ দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবদান থাকবে অম্লাণ।
রচনাকাল: ১৩/১২/০৮