নীল আকাশের সাদা সাদা মেঘের ফাঁকে
উঁকি দেয় সূর্যের হাসি,
শরতের কোমলতাকে মোরা-
প্রকৃতিতে বয়ে নিয়ে আসি।


নীল আকাশের নিচে
নদীতে নৌকায় পাল তুলে,
জেলে আর মাঝি নৌকায় বসে-
মৃদু ঢেউয়ের সাথে দোলে।


শরতে নদীর ধারের কাশফুল
সজীবতা বয়ে আনে,
দূর দিগন্ত হয় যে মধুময়-
গাছের ছায়ায় রাখালিয়া বাঁশির টানে।


জ্যোৎস্নালোকিত আঁধার বাঁশবাগানে
জোনাকিরা ছড়ায় আলো,
রাতে কোটি কোটি তারার সাথে-
জোনাকিরা কথা কয়-“তোমরা কত ভালো!”


নীল আকাশের কোটি কোটি তারা
জোনাকির জবাবে এই বলে যায়,
“তোমরা আছো বিধায় রাত্রি শোভা পায়-
শরতে অপেক্ষায় বসে ছিলাম নিরালায়।”


শরতের ভোর পাখির কূজনে মুখরিত
ভেঙে যায় আলসে ঘুম,
শরতে চালে ও তালের পিঠার-
নবান্নের উৎসবে পড়ে যায় ধুম।


মৃদু মলয়ে যখন শরত এসে যায়
প্রকৃতির বুকে ফুটে হাসি,
আশির্বাদ হয়ে মধুময় শরতে-
বাজিয়ে বাঁশি পুষ্পপুঞ্জ ফুটে রাশি রাশি।


গোধুলী লগ্নে রক্তিম আলো
দিগন্তে এসে পড়ে,
মধুময় শরতকে তাই আমন্ত্রণ জানাই-
খুশিতে বারেবারে আবেগে আনন্দ ভরে।