জন্মে নির্বাক, কথা বলতে পারিনি
শুধু কেঁদেছি, সাহায্য চেয়েছি-
এক অজানা শক্তির কাছে।
অজানা শক্তির অশেষ নিয়মতে
মায়ের বুকের দুধ পান করে
বড় হয়েছি আমি।
ধর্মীয় শিক্ষা আর নীতি কথার মাধ্যমে
বুঝেছি অজানা শক্তির উৎস কি?
কালের বিবর্তনে, সময়ের আবর্তে
মহাজাগতিক শিক্ষা গ্রহণ করছি।
এ শিক্ষার শেষ কোথায়?
না!এর কোন শেষ নেই।
ধর্মে স্বর্গের কথা উল্লেখ আছে,
তা মহাবিশ্বের চেয়েও অতুলণীয়।
সমুদ্রের তলায় সৌন্দর্য্যকে দেখলে
মনে হয় স্বর্গের সৌন্দর্য্যকে কল্পনাতীত।
মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই সুনিয়ন্ত্রিত,
সুগঠিত ও সুপরিকল্পিত।
সুন্দর,সত্য,উত্তম ও পবিত্র!
এই সত্য প্রকাশে,সত্যের পথের ঘটেছিল
নবী-রাসূল ও তাঁর অনুসারীদের আগমন,
আবির্ভাব হয়েছিল আল্লাহর কালাম।
সকল নবী-রাসূলই একত্ববাদের ঘোষণা করেছে।
নবী-রাসূল গত হয়েছে সত‌্য-
কিন্তু তাঁদের বাণী এখনো অম্লান,
নবী-রাসূলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
তাঁর মতে অজানা শক্তির উৎস-
মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই।
মহাবিশ্বের সীমাহীন পরিসর, আছে কৃষ্ণ গহবর
কোটি কোটি জ্যোতিষ্ক, গ্রহ-নক্ষত্র
সবাই একটিমাত্র শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত,
সুশৃঙ্খলভাবে অসীম পরিসরে অবস্থিত।
সবাই তাদের শির-
মহান আল্লাহর কাছে করেছে নত।
তাঁর শক্তি সকল ক্ষেত্রেই বিরাজমান,
অতএব, তিনিই সকল শক্তির উৎস।
তাই আমাদের বিশ্বাসে মিশে আছে একত্ববাদ।