গভীর রজনী,কল্পনায় বিভোর আমি।
বাকহীন নিথর দেহে চলছি এক অজানা পথে,
শুধু এতটুকুই জানি,হঠাৎ মহাকাল এসে
ক্ষণিককে বলে,‌“কিসের আশায় তুই?
এই মিথ্যা বিড়ম্বনায়!এই খেলা ঘরে,
চল আমার সাথে,ফেলে মরিচিকা ধরণীর তরে।
মনের দ্বিধায় ক্ষণিক,কিংবা অহংকারে বা তার স্বার্থে
যায় না সে চড়ে মহাকালের রথে।
ক্ষণিক যেন কিসের আয়োজনে?
সেজেছে অন্ধকার জগতের নেপথ্যে।
বয়ে চলছি নিথর দেহ নিয়ে-
এই ধরিত্রী ছেড়ে বিধাতার নিয়মে,
আবারও মহাকাল বলে উঠে-
কিসের তোর এত অহংকার?
তুই তো আমার আমারই অংশ!
ভুলে যাচ্ছিস কি বারবার?
বাকহীন নিথর দেহে ভাবছি-কি হচ্ছে এসব?
কিংবা কেন?ক্ষণিকের সাজঘরে মহাকালের আবির্ভাব।
বিষন্ন মনে পেয়েছি মহাকালের বার্তা
আমার কম্পিত দুই হাতে,
যেতে হবে সবাইকেই এক অজানা পথে
চড়ে মহাকালের রথে।