সুজলা-সুফলা মাঠ মনে করিয়ে দেয়
                  কত না গল্প; কবিতা!
        প্রকৃতির মাঝে যেন বিরাজমান-
                            স্বয়ং বিধাতা।
গাঁয়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলছে নদী
নদীর ঢেউয়ের সৌন্দর্য্য থাকবে অবধি।
নদীর তটে আছে যেন কোমল কাশফুল
মলয়ে দোলে যাওয়া কাশফুল,
             তারই সাথে নাচছে বুলবুল।
রূপে-রসে প্রকৃতি যখন মশগুল
পাল তোলা নৌকা যেন ঐতিহ্যের সমতুল।
সুনিবিড় বাঁশবাগানে ঘেরা মোর গাঁ,
চাঁদ উঁকি দেয় বাঁশবাগানে;
জোনাকির আলোয় ছড়িয়ে তা।
লক্ষী-পেঁচা ডেকে উঠে সন্ধে হলে তাই
সন্ধা-প্রদীপ জেগে উঠতে দেরী হয় না ভাই।
       বিলে-ঝিলে উড়ে আসে কত না পাখি!
         যেমন মাছরাঙা,বক আর পানকৌড়ী
তাই তো বাংলার প্রকৃতিতে সেজেছে গৌঁড়ি।
গাছের ছায়ায় রাখার বাঁজায় বাঁশি-
নীড়ে ফেরা বক যেন সাদার জলরাশি।
কখনো গৃহিণীর খোলা চুলে উড়ে-
                            উদ্দামতার কবিতা!
গোধুলী লগ্নে রক্তিম আকাশে
                       এখনো রয়েছে সবিতা।
সন্ধার প্রকৃতিতে বসে যেন তারার হাতছানি
দূর আকাশে রয়েছে যেন-
                     মিটিমিটি তারার ঝলকানি।
কোটি-কোটি তারার মাঝে একটি যে চাঁদ
চাঁদের আলোয় সুভাসিত বাংলার রাত।
বাংলার প্রকৃতি যেন এক আনন্দ-পাড়া,
সুখের সম্ভারে বাংলার প্রকৃতি যেন অমিয়-ধারা।