একটি মেয়ের গল্প আজি বলতে তোমায় চাই,
কালো রঙের স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু যার নাই।
পাহাড় তলায় পথের বাঁকে ছোট্ট কুঁড়েঘর,
বাঁশের চাঁচ আর পাতায় ছাওয়া নেইকো আপন পর।
আঁকা বাঁকা পথটিকে রোজ দেখছে নুতন বেশে,
সে জানেনা কোথায় শুরু,কি আছে তার শেষে।
শ্যাওলা জমা পাথর পায়ে মাড়িয়ে সে যায় রোজ,
বাঁশের বনে বাঁশের গোড়া, করতে তাহার খোঁজ।
বাঁশের গোড়া, কচুর ডাঁটা কিম্বা বুনো শাক,
এই দিয়ে তাঁর কাটছে যে দিন,জীবন হতবাক!
চলছিল দিন এমনি করেই ফুরালো দিন যতো,
রূপের ডালি খুললো যে তাঁর চন্দ্রকলার মতো।
তিন কুলে তাঁর নেইকো কেহ একলা থাকে ঘরে,
নজর হঠাৎ এক চালকের পড়লো তাঁহার পরে।
গাড়ি নিয়ে রোজ সকালে, সে ঐ পথে যায়,
শুরু হলো আদানপ্রদান মনের কিনারায়।
এমনি করে মাস পেরোলো বছর হলো পার,
গাড়ির চালক সরোখাইবাম সবকিছু আজ তাঁর।
স্বপ্ন দেখা করলো শুরু বাঁধবে তাঁরা ঘর,
কিন্তু বিধি বাম হলো তাঁর আপন হলো পর।
ভালোবাসার মানুষটি তাঁর দিলো তারে ধোঁকা,
পরপুরুষ তাঁর ঢুকলো ঘরে সে নিলো তার টাকা।
পারলো না সে সইতে এমন কিন্তু অসহায়,
গল্প যে তাঁর ফুরিয়ে গেল পাহাড় কিনারায়।
নিচে কলকল ধেয়ে চলা নদী মুছে ছলছল চোখ,
মাটির মেয়েকে আপন করিল মা ধরনীর কোখ।
সরোখাইবাম মদের নেশায় রোজ ফেরারি পথে,
অতল খাদে তলিয়ে গেল পাপের বোঝা সাথে।
ঘুণ লেগেছে বাঁশের চাঁচে উঠোন ভরা ঘাসে,
কুঁড়ে ঘরটি আজও ভরা তাঁহার দীর্ঘশ্বাসে।।



০৬/০৪/২০১৭
তামেংলঙ্ , মণিপুর, ভারত।