রাস্তা বাড়ি ঝলমলে সব, দারুন আলোর সাজ,
কালকে শুরু নুতন বছর, পুরানো শেষ আজ।
সেই মেয়েটি শীতল রাতে হাজার আলোয় ম্লান,
ছিন্ন বসন, ঝরছে তুষার, নগ্ন পায়ের তান।
পকেট ভরে দিয়াশলাই, হাতে আরো কিছু,
গাড়ীর ভিড়ে ছুটে বেড়ায় লোকের পিছুপিছু।
নেয়নি কেউ একটা প্যকেট পয়সা মেলে না,
অসাড় হয় হাত পা জমে, সময় থামে না।
মায়ের পায়ের পুরানো চটি নিয়েছিলো পরে,
একটা ভিড়ে হারিয়েছিল একটা নিল চোরে।
চোর ছেলেটি বলেছিল চেঁচিয়ে যাবার বেলা,
দোলনা করে টাঙিয়ে এতে দুলবো দোদুল দোলা ।
তুষার পরে খালি পায়ের বদল হলো দশা,
নীলচে কালো অসাড় হলো বরফ জমে ঠাসা।
ভয় পায় সে ফিরলে বাড়ি বাপের প্রহার তাতে,
কচি মুখের ধার ধারেনা বেতের ছড়ি হাতে।
মায়ের কথা দিদার কথা শুধু পড়ে মনে,
কোথায় যেন লুকিয়ে আছে নীল আকাশের কোনে।
দিয়াশলাই বেচে ফেরে পেটে ক্ষুধার জ্বালা,
আজ নিলোনা একটি কেহ জমাট হলো গলা।
অসাড় পায়ে পৌঁছাল সে দুটি বাড়ির গলি,
হাঁসের রোস্ট এর গন্ধ ভাষে পেট রয়েছে খালি।
জানালা দিয়ে দেখল শুধু টেবিল পরে রাখা,
চাউমিন আর নুডলস ভরে পাত্র কাঁচে ঢাকা।
নড়াচড়ার শক্তি হারায় জমাট বরফ বেড়ি,
জ্বালালো সে একটি কাঠি সাহসে ভর করি।
ক্ষনিক আলোয় মায়ের স্মৃতি ঝলসে যেন উঠে,
দেখলো মাকে হাত বাড়িয়ে আকাশ চিত্রপটে।
এমনি করে জ্বাললো সে তো একটি দুটি করে,
দিদার ছবি মায়ের ছবি ভরলো আকাশ জুড়ে।
অনেক কাঠি জ্বালিয়ে দিলো আকাশ পানে চেয়ে,
রঙীন হলো আকাশ খানি মা এলো রথ বেয়ে।
সকাল হলো নুতন বছর নুতন খুশি ভরা,
পথিক জনে দেখলো সবে মেয়েটি গেছে মারা।
সবার মুখে হায়হুতাশা এক দুজনায় কয়,
বেচারা সে কি কষ্টে প্রাণ হারালো হায়।
জানলো না কেউ কি সুখেতে সে যে গেলো চলে,
স্বপ্ন দেখে সোনার রথে মায়ের আঁচল তলে।


(একটি ইংরাজী গল্পের অনুকরনে লেখা এই কবিতাটি, লেখাটি কার লেখা ছিল বা কি ছিল আজ মনে পড়ছে না, কিন্তু ভাবার্থ টা এই রকমি কিছু ছিলো।)


(যদি কারো জানা থাকে তো কমেন্টে জানাবেন)