কালকে রাজু হঠাৎ আমায় বললো কিছু লেখো,
হেডলাইনে সেই লেখাটির 'জানি না' নাম রাখো।
জানি না এই ভাবতে গিয়ে সবি এলেমেলো,
কিছুই তো হয়নি জানা অজানা সব র'লো।
সেই সময়ে একটি মশার কামড় খেয়ে ভাই,
হঠাৎ করে আবার যেন চেতন ফিরে পাই।
এই যে দেখো ক্ষুদ্র মশা কতটুকুই বল,
সারা জীবন মানুষকে ভাই করছে নাজেহাল ।
কিন্তু রে ভাই এর পিছনেও জানার আছে খুব,
এই না ভেবে জ্ঞানের কুয়োয় যেই দিয়েছি ডুব,
অমনি দেখি সাড়ে তিন হাজার এদের নাকি জাতি,
গুটি কয়েক কামড়ে যে খায় মানুষ দিবারাতি।
বাকিরা সব এদিক সেদিক গাছ গাছালির রস,
কেউবা আবার উঁচুদরের ফুলের মধুর বশ।
মশার গানের মাধুর্য যে ভোগ করেনি হেথা,
এমন তো ভাই এই পৃথিবীর শুনিনা কারো কথা।
তিন হইতে ছয় শতবার প্রতি সেকেন্ড হারে,
ঝাপটে ডানা মশারা ভাই সুমিষ্ট গান করে।
পুরুষ মশা কভু তোমার রক্ত না নেয় চুষে,
সে তো শুধু স্ত্রীর লাগিয়া তোমায় সাঁতায় এসে।
ডিম হইতে বাহির হয়ে সপ্তাখানিক দেরি,
তোমার তাজা রক্ত লাগি দেয় যে তারা পাড়ি।
মারাত্মক এই যে প্রাণীর পৃথিবীতে বাস,
বছরটাতে দুই মিলিয়ন ছিনিয়ে নেয় শ্বাস।
উড়তে পারে দেড় দু মাইল এক ঘন্টা কালে,
নয়কো তেমন আহামরি বাকি কিটের দলে।
এরাও আবার বেছে বেছে মানুষকে নেয় চিনে,
নোংরা দেহে থাকলে মানুষ এদের বেশী টানে।
মানুষ ছাড়াও স্তন্যপায়ী কিংবা পাখির দলে,
এদের নাকি প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া চলে।
একটি শরির হতে এরা আর একটি শরিরে,
রোগ জীবানু ব্যধি বালাই যায় যে শুধু ভরে।
স্যালাইভা নামক প্রোটিন দিয়ে রক্তচোষা কাজ,
সেই কারনে অনুচক্রিকার মাথায় পড়ে বাজ।
রক্ত তেমন তাজা থাকে জমাট বাঁধে না,
সুচ ফুটিয়ে টেনে নিতে ওদের বাধে না।
গৃহস্থালীর আশেপাশে স্যাঁতস্যাঁতে কোন স্থানে,
কিংবা কোথাও জমানো জলে ডিম ফোটাতে জানে।
শেষ করবার আগে শুধু এটাই বলে যাই,
সাফাই ছাড়া প্রতিকারের রাস্তা কিছু নাই।