ভাঙা কাঁচ নিয়ে খেলা করার স্বভাব দোষে,
আঙুলে আজ ফিনকি ছোটে,
হৃদপিণ্ডের ঘাম ঝরছে সামাল দিতে রক্ত চাপে,
ঝুলন্ত ত্বকে কবিতা ফোটে।
রূপবাহারি শব্দেরা আজ মুখলুকিয়ে পথের বাঁকে,
হন্যে হয়ে কলমখানি হাতড়ে বেড়ায়।
অচেনা গলির মোড়ে নিভলো বাতি আঁধার জমে
সুরের তালে ছন্দ খুঁজে থমকে দাঁড়ায়।
রাত বিরেতে ঘুম ভাঙা চোখ স্বপ্ন খুঁজে
বালিশ ভেজায় বন্ধ চোখে শিশির কণা।
ঠোঁটের ফাঁকে গোলাপ ছেঁড়া পাঁপড়ি চেপে
ময়ূর ভিড়ে পালক গোঁজা কাকের ছানা।
সৌদামিনীর আঁচড় কাটা নীলের গায়ে প্রতিকৃতি
শর্বরী তার আঁচল খুলে মোহের বসে,
কিরণমালীর সঙ্গে যে তাই নিত্য বিভেদ
এলেই কাছে লোকান্তরে যায় সে খসে।
শ্রান্তিবিহীন দগ্ধ প্রাণে কল্প আশার লহর উঠে
অতীতটা আজ চোখে আঙুল হিসেব মেলে,
প্রশ্ন করে বারংবার যতোটা সময় করলে পার
ঠিক ততোটা বেঁচেছিলে?