পাহাড় আমায় ডাকলো আজি বর্ষা শেষের প্রাতে,
সারাটা রাত ঝির-ঝির-ঝির ঝরেছে কাল রাতে।
শীতল শীতল বাদল হাওয়ায় মেলে দিলেম ডানা,
সারাটা দিন মুক্ত আজি নেইকো কোন মানা।
মোটর গাড়ি পক্ষীরাজের কল্পনাতে মোর,
বাদল ঢাকা পাহাড় যেন রাজপ্রাসাদের ঘোর।
মনটা করে উড়ু উড়ু কল্পনারি দেশে,
নিজের মতো সাজাই নিজে নানান রকম বেশে।
হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে বাদল সরে সরে,
নানা রকম ভঙ্গীমা আর নানান ছবি ধরে।
কখনো বা কুয়াশা ভরা আঁধার ঢাকে পথ,
কখনো বা পাথর মাড়ায় গতী যে হয় শ্লথ।


হটাৎ যখন স্বপ্ন শেষে ঘুম ভাঙারি মতো,
সূর্যকিরণ হামলে পড়ে, হৃদস্পন্দন স্ফীত।
একদিকে তার অতল গহ্বর অন্যদিকে খাড়া,
আসমানে তার আলিঙ্গনের উচ্ছসিত চুড়া।
মধ্যিখানে এঁকেবেঁকে সরু একখান পথ,
সাপের মতো এলিয়ে শরীর মৃত্যু মুখের ওৎ।
নুড়ি পাথর ছড়ানো যেন স্রোত হারানো নদ,
মানচিত্রের রেখার মতো ঝুলন্ত এক পথ।
পক্ষীরাজের কল্পনা মোর কয়েক মুহর্তে,
উধাও এমন, পাবো না ফিরে যে কোন শর্তে।
রাজপ্রাসাদ সে পাহাড় এবার শয়তানপুর হয়ে,
প্রতি ক্ষণে আসছে যেন বিদ্রূপ এক বয়ে।
আমি কোথায় স্বপ্ন কোথায় অলিক সে সব দুরে,
চড়ক দোলা দুলছি আমি ছোট্ট মোটর-কারে।
চক্ষু মুদে বসার আসন আঁকড়ে ধরে রাখি ,
বারে বারে পিতা মাতায় হৃদয় ভরে ডাকি ।
এমনি করে কষ্ট সহে দিনটি হলো পার,
বাধ্যতা না থাকলে নেড়া বেলতলায় যায় আর ?