আজকাল কবিতার নামে শরীর পরিবেশনার ঢেউ,
দু চারটে অব্যক্ত শব্দের চিৎকার-
আর গলামেলানো ফেউ।


শিল্প কি শুধু কলমের আঁচড়,
আর ঝরে যাওয়া এলোমেলো রঙ।
দুচারটে শব্দের কোলাহল
আর অবিন্যস্ত বাক্যের ঢঙ।


আমার শিল্পকলা নিয়ে
তুমি নির্বোধ হয়ে চেয়ে চেয়ে রবে,
তাই, কি রয়েছে আঁকা ?
কি আছে লেখা?
তাহলেই শিল্পির জয় হবে।।


তবুও যেন দ্বন্দ্ব মনে, উঠছে আমার ক্ষণে ক্ষণে,
কবিতার নামে নয় কি অবক্ষয়?
কল্পনাতে যা আসে তাই, সেসব কথাই যাই লিখে যাই।
লেখার সাথে আমার কি মিল রয়?
ধন্য তোমার কল্পনা আর ধন্য কবিতা,
শব্দ জুড়ে ভীষণ রকম তীব্র নগ্নতা।
নারী শরিরের ঊষ্ণতা শুধু বয়।
আমি হলেম কবি আমার লেখাই কবিতা,
যৌনতা এক শিল্প সে তো নয়গো নগ্নতা।
সেই শিল্প বুঝবে তুমি এতোটা জ্ঞান নয়।
আমি বলি হয়তো হবে কবির কথাই ঠিক,
তারাই হলেন বুদ্ধিজীবী মোদের দেখান দিক।
আমার চুপ থাকাতেই ভালো।


কয়েকটা দিন হঠাৎ পরে
কবির টনক উঠলো নড়ে,
পড়ছে না কেউ আমার কাব্যখানি।
এতো সহজপাচ্য লেখা,
তাতেও রুচির অভাব হেথা,
সত্যি কবি যাচ্ছে প্রমাদ গুনি।


সুপ্ত যেথা অঙ্কুর আর সুপ্ত ফুলের কুঁড়ি,
বাহির করে আনলে তাদের প্রচ্ছন্নতা কাড়ি,
মেলবে না সে দুটি পাতা ফুটবে নাকো ফুল।
যৌনতা এক শিল্প হলে নগ্নতা তার ভুল।।