চৈতি হাওয়ায় চলতি পথের গান
চোখ  তুলে শুনি জাহাজ ছাড়া ডাক।
বুঝেছি কি সব ? না বুঝেও যদি হয়
হাতের ভেতর রাত জাগা হাত থাক।


বালিয়াড়ি বেয়ে তির তিরে এক নদী
বুকের ভেতর উথাল পাথাল ঢেউ।
বিবাগী হাওয়ায় ওড়া সে হলুদ পাতা
এমন করে ডাকেনি তো আর কেউ।


জানলা ধরে পুরোনো রাস্তা গলি
ঝুল বারান্দা , ভাঙ্গা ঘাটে সেই নদী।
আঁচলের গিঁটে আঁকড়ে রাখা সময়
ধান মাঠ জুড়ে জ্যোৎস্না ছড়ায় যদি।


বিষন্নতা কি শিমুল তুলোর বালিশ
ডুবোতে কি চাস দুঃখ , ডুবিয়ে মুখ।
অশ্রু স্নানের শেষে মেঘের বেলায়
জলের দাগই হাত ভরে দেয় সুখ ।


এ শরীরে জমে অনেক দিনের ধুলো
রাতের কাছে এ মনের অনেক ঋণ।
তবুও তোর  সামনে ন্যুব্জ আমি
ভুলে যেতে চাই বাঁচার আশা যে ক্ষীণ।