মধ্যবিত্তের শ্যাওলা ধরা উঠোন ডেকেছে
ডেকেছে অনেক অক্ষমতার সীমাবদ্ধতা
না... না.. না.. আয়, ফিরে আয় .......  


রক্তের জোর নাকি সময়ের
যখন সাধারণ মানুষ সিংহ হয়ে যায় ..
ভেঙ্গে ফেলে শৃঙ্খল সমাজের
নিজের কপাল ভেঙ্গেও .....!!


আজ পড়ন্ত মায়াবী বিকেলে, তুমি -
রঙিন চুলকে কপাল থেকে আলগোছে সরিয়ে অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে
চশমার ফাঁক থেকে বললে -
"আজ কাল সভ্য সমাজের গভীরে বাস করছে
এক অসভ্য বর্বর সভ্যতা ......"
বিপ্লব চাই ! বিপ্লব ! চাই আমূল পরিবর্তন !!
তুমি বাতানুকূল পরিবেশে বাস করা তন্বী
কত আগুন জ্বললে বাক্যে, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বিদ্যুত
অসহায় পলক নামানো পলকে বৃষ্টিও হলো !
ষড়ঋতু আমার সামনে চায়ের টেবিলে
আমি শেষ চৈত্রের পড়ন্ত রোদ ....
বৈশাখের বাচালতা, শ্রাবণের সোহাগ
শরৎের সরলতা, শীতের সহনশীলতা
ফাল্গুনের আগুন সব শেষ .......


এসো পুরাতনের গান শোনাই চির নতুন ছন্দে
আজও স্বপ্ন ভরা প্রাণে প্রেম আনে চাঁদ l
রাতের নিয়নের আলো ছাড়িয়ে ........
ঘুণধরা সমাজে আমরা বাস করছি
তা সর্বৈব সত্য নয় ......


বিপ্লব যুগে যুগে এসেছে কান্না মোছাতে
হয়ত গোপনে কেঁদে ........
এসেছে বেড়ি ভেঙ্গে, কত নগর জনপদ মাড়িয়ে .....
কত সামান্য, মহামান্য মানুষের রক্তে বয়ে
কখনো ঝুপড়ি কখনো রাজপ্রাসাদের
চোরা-কুঠুরি থেকে .....
আলো না পড়া আঁধারের হৃদয় থেকে


এ অনেকটা নতুন যৌবনের মত
সালঙ্কারা সাজানো সমাজ লুণ্ঠন হবে
হয়েছেও যুগে যুগে ........
সাদা মাটি আজ ধূসর হয়েছে
শুধু রক্তে ভিজে ভিজে ....
নির্বাক সাক্ষী বাতাস আর হারানো অসংখ্য দীর্ঘশ্বাস .......


এই মেয়ে, তোমার চা ঠান্ডা হয়ে গেল
বাইরে সন্ধা নামছে সোনালী আলোতে
চল, ফেরা যাক .........