আমরাতো এখন দৈনন্দিন জীবনের ইতিহাস
কম্পোজিটর খয়ে ফেলে তাঁর নখ
যান্ত্রিকভাবে যন্ত্রের সুইচ টিপে টিপে
আমারাতো আজ গেছি ভুলে
আমাদের দেশে জন্ম নেওয়া ' রবি'র কিরনকে
ছোটবেলার ' সহজপাঠ' এর পাতায় পাতায়
দৃপ্তিছড়ানো বাংলার কবিকে !
এখনও রাস্তায় দইওয়ালা দই ফেরি করে
অমল কি আর জানলায় নাম না জানা গ্রামের গল্প করে
তার সাধের ল্যাপটপ মোবাইল ফেলে
পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ রবি ঠাকুরের দিন
পূজোর জন্য পাড়ায় পাড়ায় যত্নে মঞ্চ সাজানো হতো
ছোট্ট শিশু দেখতো চেয়ে ভেঙ্গে দিতে কালবৈশাখী আর
জলে ভাসিয়ে দিতো কেমন শ্রাবণ বৃষ্টির ছাট
' পুরানো সেই দিনের কথা' আজও কেমন মনে পড়ে ।
সমাজের বুকে এখনও চলছে
পনপ্রথা আর তার হিংস্রতার ছাপ
' দেনাপাওনা'র আড়ালে এখনও
অনেক নিরুপমা নিভৃতে নয়নে কাঁদে
' দুই বিঘা জমি'তে এখন প্রমোটারদের থাবা
ছোট্ট ' মিনি' পেয়েছে কি ' কাবুলিওয়ালা'র খোঁজ না
বিয়ে দিয়ে দিয়েছে বাবা-মা আঠারোয় না হতে
' আকাশ ভরা সূর্য তারা' করছে কি আর গান
' মম চিত্তে নৃতেনিত্তে' এখন হিন্দি গানের টান
সমাজের চোখ যেন 'চোখের বালি'তে ভরা
জীবনটা আজ 'নৌকাডুবি' 'ঘরেবাইরে' ' চতুরঙ্গ'
তবুও " আমায় কিছু দাওগো বলে বাড়িয়ে দিলেম হাত " ।।