প্রত্যেক কবির উচিত তার অগ্রজ কবিকে হত্যা করা, বললেন পুনরাধুনিকের পুরোধা অনুপম মুখোপাধ্যায়।
হ্যা ঠিকই বলেছেন উনি।অনুকরন,অনুসরন এড়াতে এর বিকল্প নেই।
যারা নিজস্ব ভঙ্গিতে কবিতা লিখতে চায়,যারা গতানুগতিক না লিখে একটু আলাদা,অন্যরকম লিখতে চান,বা যাদের লেখা দেখলেই বোঝা যায় এটি ওনার লেখা,তারাই এ কাজটি করবেন তাদের লেখার সাইন ঠিক রাখতে।


অবশ্য যে সমস্ত কোবি কোবিতা লেখে সে সব বৃদ্ধের জন্য এ ভাবনা প্রযোজ্য নয়।
বৃদ্ধ বোঝাতে তাদেরই বোঝানো হয় যারা নতুন কে অস্বীকার করে এবং নতুন কিছু সৃষ্টি করার সক্ষমতা হারিয়ে নিজের পুরোন সৃষ্টিকে ডেকে ডেকে দেখান।।এ প্রসঙ্গে আসরের কবি রেনেসাঁর একটি কথা ,তাদের বয়স বেড়ে বৃদ্ধ হয় বড় হয় না।


কবিতার শব্দ চয়ন,বাক্য বিন্যাস,রূপকল্প,চিত্রকল্প,প্রকাশ ঢং সব কিছুতেই থাকতে হবে নিজস্বতা।


গত শতক,দশক বা সমসাময়িক কারো অনুকরন,অনুসরন এ সময়ের কবির কাছে প্রত্যাশিত নয়।


কবিতা চাই সময়ের শব্দের শাব্দিক চাহিদা পুরণ ও সদার্থক মনোভাব।


তৈলশিল্প একজন কবিকে কোবিতে রূপান্তর করে,তাকে কবি হোয়ে ওঠার পথে চরম বাধা।আলোচনা,সমালোচনা হজম করাই একজন কবির অভ্যেস হওয়া উচিত।


কবির চরম উদ্দেশ্য পাঠককে ভাললাগান,বোঝানো নয়...বিনয় মজুমদার।