ঐ সূর্যের শিখরে নেমে আসবে
বিদীর্ণ আঁধারের ঘনঘটা একদিন,
এই মানব শরীরের উষ্ণ রক্তও
শীতল হয়ে মেটাবে তার ঋণ।
যখন জ্বলবে না আর কোনো নক্ষত্র
দূরের ঐ অদেখা মায়ার ছায়াপথে,
তখন মুক্তবসনা এই হৃদপিণ্ডের
প্রতিটি কম্পন থেমে যাবে মৃত্যুরথে।
চেনা অচেনা শব্দের বিপরীত শব্দেরা
মুখ লুকোবে নির্মম পরিহাসের মাঝে,
ডাকবে না কেউ প্রার্থনায় নতজানু হতে
জ্বালাবে না বাতি কেউ একলা ঘোর সাঁঝে।
চিরন্তন অভ্যেসের মাঝে পড়বে ঢুকে
অসীম সব নির্দেশের অসীম কঠোরতা,
থেমে যাবে সব ঐশ্বর্য আর অহমিকার বাড়
নিভে যাবে কামাগ্নির সব উশৃঙ্খল উদ্ধতা।
চারিদিকে তখন শুধু ঘোর অমানিশার ঢল
ঝাপিয়ে পড়বে সব কুকুর নেকড়ের দল,
পুনর্জাগরিত আত্মা তখন হবে দিশেহারা
আসবে না কারও চোখে এক বিন্দু জল।
নিশুতি রাজ্যে তখন শুধু হিসেবের খেলা
মানবাত্মার চরম বিপর্যয়ের চিরন্তন মেলা,
ঢেকে যাবে সব মানব শক্তির রেখারা
চেয়ে থাকবে শুধু অধঃস্থিত অবহেলা!
জাগতিক ঋণের হয়ে যাবে সব শোধবোধ
ঐ পরাক্রমশালীর প্রকাশ্য উদয় হবে যখন,
অনুতাপের অগ্নিতে ছাই হবে সব তখন
জড়িয়ে থাকবে দেহে নিষ্পাপ সাদা কাফন।