নির্লজ্জতার অনিমেষ নির্বিশেষে চেয়ে থাকে
কোলাহলের উচ্ছ্বসিত বিমূর্ত কিছু মুহূর্তের ডাক,
সমাহিত চেতনার বক্ষে নির্বাসিত হয় আজ মৃত্যু
তবুও নির্লিপ্ত চোখে চেয়ে থাকে অজানা উল্লাস।
হাজার বছরের পুরোনো রাতের আঁধারে আজও
পথহারা নাবিকের মতোন চৈতন্যহীন হয় মহাকাল,
দ্বিধাহীন কণ্টকাকীর্ণ পথের শেষ সীমানায় ছোটে
নিরপেক্ষ হয়ে বেঁচে থাকা পৃথিবীর নিম্নস্তরের প্রাণ।
সমুদ্রের মহাগর্জনের বিপরীতে হুংকার ছাড়ে মেঘ
নক্ষত্রের আলোর অবারিত নিস্তব্ধতায় ভাসে রাত,
তবুও আমরা বসে থাকি একাকী মুসাফির বেশে
তবুও আমরা হেসে উঠি চিত্তাকর্ষক মিথ্যে সুখে।
নগ্নতার আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত লাশে পচন ধরে
যেভাবে পঁচে গেছে মনুষ্যত্বের শিহরিত উপাখ্যান,
বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে সূর্যের আলোর রেখা
যেভাবে দাঁড়িয়ে থাকে হার না মানা অভিমানী সত্তা।
ইতিহাসের কসম কেটে মিথ্যে সময়ের জরায়ুতে
বেড়ে ওঠে চরিত্রহীন নিকৃষ্ট কিছু ক্ষুধার্ত অভিলাষ,
আর, ধেয়ে আসে ধরিত্রীপুরে অসহযোগ অভিশাপ
যে অভিশাপে জর্জরিত হয়ে ধ্বংস হয় মনের মানচিত্র।
স্বপ্নহারা রাতের ঘুমের দৃশ্যে বন্দী হয়ে যায় মানুষ
চিহ্নহীন মরুভূমির বুকে তৈরি হয় বলির পরাকাষ্ঠা,
নপুংসক কিছু চিন্তাধারায় বিশ্বাসী হয় ধর্মতত্ত্বের দেহ
মানুষ তখন ফিরে আসে নিশাচর কোনো পটভূমিতে।
বিচ্ছিন্ন দীর্ঘশ্বাসের অজানা প্রতাপে ছিন্নভিন্ন হয় তখন
এই লজ্জাহীন সময়ের সস্তা কফিনের সস্তা পুষ্পমাল্য,
অবিনীত অবচেতনের মস্তিষ্কের ভেতর চাষ হয় তখন
মৃত সময়ের সমাধিলয়ের প্রাচীন অন্ধকারের কলতান।