চেয়ে দেখ ঐ দূরের অন্তহীন নিমগ্ন ক্ষণিকালয়
বিচ্ছেদের সুরের রাগিণী বাজানো তার যাত্রাপথের,
অসংখ্য খানাখন্দভরা ক্ষতবিক্ষত বুকের গহীনে
আজ কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে সব লণ্ডভণ্ড।
বেহাগের ধরণীতলে প্রার্থনায় নতজানু শিয়রে
সুউচ্চ শিখরে আরোহন করে সব মিথ্যে স্বপ্নরা,
ভেঙে চৌচির হয় তখন আমাদের প্রার্থনালয়
জ্বলে পুড়ে খাক হয় নাম না জানা অস্তিত্বের রাত!
শূন্যতার অশান্ত বহিঃপ্রকাশে যোগ দেয়া অশ্রুপাত
মুছে দেয় আজ কল্পনাপ্রসূত নোনা ক্যানভাসের রঙ,
নিঃশব্দে কাঁদতে থাকে তখন অবহেলিত চেতনা
নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে অবচেতনের প্রবল ভাবাবেগ।
বিস্মৃতির অতলে ডুবে থাকা অভিমানের জন্ম হয়
কাক শকুনের প্রবল প্রতাপের নোংরা ভাগাড়ের মাঝে,
শিহরিত প্রতিটি সকাল চলে যায় রাতের গহ্বরে
পরাজয় আস্বাদিত উন্মেষে বেড়ে ওঠে চরিত্রহীনতা।
চারিদিকের আঁধারে রুপান্তরিত হয় অশুভ শক্তি
মহাশ্মশানে জন্ম নেয় রাতজাগা পশুত্বের প্রতিবিম্ব,
সত্যকে মাটির গভীরে চাপা দেয় মিথ্যের বুলডোজার
পৃথিবী তখন ঢলে পড়ে মহাকালের অন্তিম নিদ্রায়,
শরবিদ্ধ হয় আজ মহাজগতের আদিম যৌবনের খোলস!