সীমিত আকাশ,
ডানা মেলেছে এক ঝাঁক শান্তি।
“অস্ফুট স্বরে স্বীকারোক্তি”
সাক্ষী চিলেকোঠা ঘর...
তারপর কেটেছে বছর দুই,
শোকের নেই অবকাশ।

বিপদজনক বাড়ি,
ভাঙ্গা দেওয়ালে আগাছার জঙ্গল
শান্তি উধাও,
জীর্ণ ছাদে উন্মত্ত চ্যাংরা ছেলের দঙ্গল
আকাশজুড়ে ওড়ে ঘুড়ি।

এক ঝাঁক শান্তি পরাধীন,
ওবাড়ির চিলেকোঠার বোঁটকা গন্ধে।

আঁশটে কসাইখানা,
মৃত সৈন্যের দেহে বারুদের গন্ধ –
এক ঝাঁক শান্তি রক্তাক্ত।
শ্মশান জুড়ে বুড়োদের ভিড়,
নীরবতা পালন করে নোনা ধরা বৈঠকখানা।

এক ঝাঁক ঝিঁঝিঁ পোকার নির্দেশ,
কুৎসিত প্রলোভন
অপরিচিত খাদকের আরোহন,
উপভোগের ভোররাত ওবধি...
অচেনা শুক্রানুর প্রবেশ।

এক ঝাঁক শান্তির আশ্রয় -
রাস্তার তাঁবুর অন্ধকারে,
লম্ফ্‌ জ্বলে আর এঁটো ঘাঁটে
অপুষ্টিকর পোয়াতির ভয়।

ক্লিওপেট্রা সেজেছে ওপাড়ার মেয়েগুলো -
আলিঙ্গনের অন্তরালে রঙীন পিপাষা
ঘন হয় কলঙ্কের কুয়াশা,
এক ঝাঁক শান্তি ধাবমান –
দু’উরুর মাঝ পথ বিভৎষ্য, আর
নির্লজ্জ বিছানায় রাত কাটতেই
আঙ্গুল তুলে কটাক্ষ করে নিন্দুকের দল।
অস্পৃশ্য হয়ে ওঠে সংবেদনশীল ইচ্ছেগুলো

লাশকাটা ঘর –
ছড়িয়ে এক ঝাঁক শান্তি,
দেহ মন শীতল, পাষাণ

সবুজ কার্পেট স্পর্শ করে
বয়ে যায় শুষ্ক তির্যক বাতাস,
এক ঝাঁক শান্তি বাক্সবন্দি
নিঃসঙ্গ গোরস্থান।

এক ঝাঁক শান্তি জমা পড়ে
ব্যাঙ্কের খাতায় মাস শেষে,
শুধু ডায়রির ক’টা ফলকের দায়
শোক শ্বাস নেয়,
ইন্টেলেকচুয়াল ভঙ্গিতে।