আমার শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি
বিলথৈ নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে,
সেই নয়ের দশকের প্রারম্ভে
যাত্রা শুরু প্রাথমিক শিক্ষার আলয়ে।


প্রধান শিক্ষক ছিলেন কমল চরন নাথ
শুনেছি উনি চলে গেছেন পরলোকে,
ছিলেন লক্ষী দিদিমনি, প্রমোদ স্যার
বন্ধুবর পলাশ, চন্দন সহ  অনেকে।


তারপর বিলথৈ উচ্চতর মাধ্যমিকে
চুরানব্বই এ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পদার্পণ,
   অনুপম স্যার শ্রেণী শিক্ষক
দিতেন আমাদের গণিত শিক্ষণ।


ধরনী মোহন নাথ প্রধান শিক্ষক
ছিলেন অনেক  শিক্ষাবিদ মহান,
রসায়নের রঞ্জনেশ্বর স্যার হয়েছিলেন ইনচার্জ
সহপাঠীদের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ,নান্টু, অংশুমান।


শতাব্দীর শেষ লগ্নে মাধ্যমিক
দুহাজার এক সালে উচ্চমাধ্যমিক,
এক লহমায় কেটে গেল বারোটি বছর
ছাত্র জীবনের এক যুগ বিলথৈ কেন্দ্রিক।


অবিভক্ত উত্তরের ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়
দুহাজার একে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি  কৈলাশহরে,
রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স ত্রৈবার্ষিক কোর্স
সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি  দুহাজার চারে।


সেথায় সান্নিধ্য পেয়েছি অনেক সহপাঠীদের
সিদ্ধার্থ সোমেন দ্বিজলাল আবুল দীপক,
রসায়নের আরডি স্যার, সঞ্জীব স্যার, সুরজিৎ চক্রবর্তী
অজয় কুমার ভট্টাচার্য অধ্যক্ষ
    আরও বিশিষ্ট স্বনামধন্য  অধ্যাপক।


গোবিন্দপুরে মনু নদীর তীরে ভাড়া বাড়ী
সংস্কৃতের পণ্ডিত ছিলেন রমেন্দ্র ভট্টাচার্য,
বর্ষায় নদীর জল বিপদ সীমায়, বন্যার শংকা
পাবলিক লাইব্রেরিতে পত্রিকা পড়া ছিল নিত্য কার্য।


এবার পাড়ি সুদূর পশ্চিমের সূর্যমনিনগর
দীর্ঘ যাত্রাপথে এসকর্ট সহ বাসে যেতে হত,
রসায়নে স্নাতকোত্তরে ভর্তি দুহাজার চারে
দুহাজার ছয়ে এম.এসসি ডিগ্রি অর্জিত।


বিশ্বনাথ দিন্দা স্যার জৈব রসায়নের প্রাণপুরুষ
মহেশ কুমার সিং পড়াতেন ইনোরগেনিক,
বন্ধুবর দেবাশীষ বর্তমানে অধ্যাপক
অনুপ পিপাস  বিকাশ আল্পনা আরও অনেক।


আট সালে ইন্সটিটিউট অব এডভান্স স্টাডিজ
নয়ে বি.এড, শিক্ষকতা আসাম রাইফেলস্ স্কুলে,
সরকারী  স্নাতকোত্তর শিক্ষক পদে নিযুক্তি
দামছড়া উচ্চতর মাধ্যমিকে দুহাজার দশ সালে।