আপনি যখন জন্ম নিলেন রাণী,
সেদিন দুনিয়া ঈর্ষার আগুনে কেঁপে কেঁপে পুড়ছিল।
সেই ভূবনের কাছেই জানতে পারি আমি।
স্রষ্টা তোমাকে সৃষ্টি করেছেন দুনিয়ার
সকল সৌন্দর্যবোধের পূর্ণ যোগানে।
আমি কোন চোখে দেখি তোমারে রাণী!
তুমি তো জগতের সমস্ত রূপ-রসের বহুল-সমষ্টি!
তোমাতেই প্রেম, কাম, মোহ, গন্ধ, রূপ!
জগৎ তোমার চোখেতে লুটায়!
জল-সমুদ্রে ভেজা-ফাল্গুন তুমি,
বাতাসে তোমার চুলের-ছোঁয়া লেগে
শীতলতা আসে গরবিণী!
আগুনে তোমার শরিরী জোয়ার,
রূপে জ্বালায় ধরিত্রীর সব সুন্দর!
জগৎ-জোড়া খ্যাতি তোমারই পায়ের তলায় ছড়ায়,
পুরুষ যে সূর্য তোমাতেই উৎসর্গ করে
চাঁদ সাঁজায় তোমারে।
কবর হয় তীর্থস্থান তোমার রাণী
কোন বুকে ধরি আমি তোমায়!
পঞ্চাশোর্ধ তোমারে দেখেও যে যুবক
আত্মহুতি দেয় তোমারই রূপে
পতঙ্গের মতন:
সেই যৌবণের চোখে তুমি বারবারই
কিশোরী হয়ে ওঠো!
সতী-পদ্ম তোমার বৃন্তস্খলিত হোক
সে কখনো চাইনা আমি;
তোমার জন্য আরও পদ্ম ফুটুক!


১৮০৩১৬