অবস্থা তখন দ্রুত পড়ছে....
একের পর এক জমি, বাগান, গয়না....
সব বিক্রী হয়ে যাচ্ছে
এবার গরুর পালা।
পাঁচ সের দুধ দেওয়া ধলি গাই।
গ্রাহক এলো সন্ধ্যাবেলা, গরুর ব্যাপারী
দাম দর হলো, বায়নাও।
কথা হলো... সকালে পাঁচ সের দুধ দুয়ে
তারপর নিয়ে যাবে।
ও ধলির মাথায় হাত বুলাতে গেল
ধলি মাথা নেড়ে বলল... 'না'।
গলার ঘন্টাটা বেজে উঠল
ওর ছুটির ঘন্টা।
সকালে দেখা গেল
ধলির দু চোখে জলের ধারা
ও বুঝতে পেরেছিল
এ বাড়ীতে ওর দিন শেষ।
ভোর থেকেই খাওয়া বন্ধ
ওরা এলো, দুধ দোয়া হলো, পাঁচ সের...
সন্তুষ্ট হয়ে কথামত টাকা মিটিয়ে দিল।
কিন্তু ধলি যাবে না, গোঁ ধরে বসে আছে।
টেনে হিঁচড়ে কাজ হলো না
শেষে চার জনে লাঠিপেটা করে
ওকে নিয়ে চলল
ধলি চিৎকার করল,
সদর দরজায় বসে পড়ল
কিন্তু যাওয়া ঠেকাতে পারল না
চলে যেতেই হলো। পশু তো !
আমি চিৎকার করে উঠলাম
দু হাতে বুক চাপড়ে কাঁদতে লাগলাম।
বাবা বলল.... তুই একটা গরু।
গাই বিক্রী না হলে খাবি কি?